বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেমকুমার ও দুই মাস্তান

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২১ ১০:০৭

‘দেখতে সুন্দর। গায়ের রং ভালো। দেখলে প্রেম জাগে। তাই ভালোবেসে এর এর নাম দিয়েছি প্রেমকুমার।’

গায়ের রং তামাটে। নিচের দিকে সাদা ছোপ ছোপ। থলথলে শরীর। নাম তার প্রেমকুমার। এই গরু সিলেট নগরের খাদিম এলাকার।

‘এই নাম কেন?’

মালিক আব্দুছ ছাত্তার লাভলু বললেন, ‘দেখতে সুন্দর। গায়ের রং ভালো। দেখলে প্রেম জাগে। তাই ভালোবেসে এর এর নাম দিয়েছি প্রেমকুমার।’

নগরের খাদিম এলাকায় আরও ‘আল্লার দান ডেইরি এগ্রো ফার্ম’ নামের একটি খামার গড়ে তুলেছেন লাভলু। ২০১৮ সাল থেকে এই খামারে ষাঁড় লালন-পালন শুরু করেন তারা। তিন বছর আগে যেগুলো বাছুর হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন, সেগুলোই এখন একেকটা বিরাট ষাঁড়। তাদেরই একটি এই ‘প্রেমকুমার’।

এই খামারেরই বিশালাকৃতির আরেকটি ষাঁড়ের নাম ‘কালো মাস্তান’। গায়ের রং কুচকুচে কালো। আর যে ষাঁড়টি ধবল, তার নাম রাখা হয়েছে ‘সাদা মাস্তান’।

জেলায় এখন বেশ পরিচিত প্রেমকুমার, সাদা মাস্তান ও কালো মাস্তান। আগ্রহীরা এদের দামও হাঁকতে শুরু করেছেন।

এদের দেখতে গিয়ে কথা হয় খামারটির মালিক আব্দুছ ছাত্তার লাভলুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ বছর আমরা এরই মধ্যে ১৫ থেকে ১৬টি ষাঁড় বিক্রি করেছি। বড় আকৃতির ১০টি ষাঁড় এখনও রয়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় তিনটি হলো প্রেমসাগর, সাদা মাস্তান ও কালো মাস্তান।’

জেলায় এখন বেশ পরিচিত দেশি সাওয়াল জাতের প্রেমকুমার

লাভলু বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে এগুলো লালন-পালন করছি। সম্পূর্ণ দেশীয় জাতের খাবার খাইয়েছি। সাদা মাস্তান ও কালো মাস্তানের দাম ধরেছি ৬ লাখ টাকা। সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাম করেছেন কয়েকজন। আমরা বিক্রি করিনি। আর প্রেমকুমারের দাম ধরেছি সাড়ে ৫ লাখ টাকা।’

তিনি জানান, এই তিন গরুর প্রতিটির ওজন প্রায় সাড়ে ৮০০ কেজি। এর মধ্যে প্রেমকুমার দেশি সাওয়াল জাতের। দুই মাস্তান ফিজিয়ান জাতের।

করোনাভাইরাসে এবার কোরবানির হাট বসলেও তাতে অংশ নেবেন না বলে জানান লাভলু। তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের কারণে এবার ঈদে পশুর হাট বসবে কি না, জানি না। তবে হাট বসলেও আমরা যাব না। কারণ এবার হাটে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আমাদের গরু কিনতে হলে খামার থেকে এসেই কিনতে হবে।

ফিজিয়ান জাতের কালো মাস্তানের দাম ধরা হয়েছে ৬ লাখ টাকা

‘যেহেতু আমাদের গরুগুলো ভালো, তাই আমরা আশাবাদী ক্রেতারা এখান থেকে এসেই কিনে নিয়ে যাবেন। আর আমরা দাম রাখছি বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম। ফলে ক্রেতারাও উপকৃত হবেন।’

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিভাগে ১২ হাজার ৯৭২ জন খামারির কাছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮০৫টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৫৮ হাজার ৭৯৩টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৩২ হাজার ৫২৯টি, হবিগঞ্জে ৩৭ হাজার ৬২৮টি এবং সুনামগঞ্জে ৪৮ হাজার ৮৫৫টি পশু রয়েছে।

সাদা মাস্তানের ওজন প্রায় সাড়ে ৮০০ কেজি

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রুস্তম আলী বলেন, ‘সিলেটে যে পরিমাণ পশু আছে তাতে চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। কারণ খামারিদের বাইরেও প্রচুর কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। গত বছর সিলেট জেলায় ১ লাখের মতো পশু কোরবানি হয়েছিল। এবারও এ রকমই হবে বলে আমরা ধারণা করছি।

‘সে জন্য স্থানীয় ও খামারিদের কাছে থাকা কোরবানিযোগ্য পশু মিলিয়ে চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে। আর কিছু পশু অন্যান্য জেলা থেকেও সিলেটে আসবে। দেশের বাইরের পশুর এখানে প্রয়োজন নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর