দেশে উৎপাদিত পশুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে বলে দেশি খামারিদের আশ্বস্ত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ভালোকিনি ডটকম ও বেসরকারি সংস্থা গণউন্নয়ন কেন্দ্রের যৌথ আয়োজনে চরাঞ্চলের গরুর অনলাইন হাটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সোমবার সকালে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন মন্ত্রী।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘খামারিদের সুবিধার্থে আমরা বৈধ বা অবৈধ কোনো উপায়েই মিয়ানমার ও ভারত থেকে গবাদিপশু দেশে আসতে দিচ্ছি না। কারণ, গবাদিপশু উৎপাদনকারীদের অনেক অর্থ ব্যয় হয়। তারা যদি ন্যায্যমূল্য না পান তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, বেকার হয়ে যাবেন, তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে যাবে, গ্রামীণ অর্থনীতির সচল চাকা অচল হয়ে যাবে।
‘এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমি সকল খামারি ও উৎপাদকদের নিশ্চিত করছি, আপনারা ন্যায্যমূল্যে গবাদিপশু বিক্রি করতে পারবেন।’
রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা চাই দেশের প্রাণিসম্পদ বেড়ে উঠুক। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে এবং এ পরিবর্তনের ধারা আমরা অব্যাহত রাখব।’
করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচা সবার জন্য সহায়ক হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জনসমাগম থেকে দূরে থাকা সবচেয়ে প্রয়োজন। এ পরিস্থিতিতে অনলাইনে কোরবানির গরু ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ রাষ্ট্রের জন্য, সরকারের জন্য বড় সহায়ক।
‘চরাঞ্চলের গরুর অনলাইন হাট শুধু ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার জন্যই নয়, এটি রাষ্ট্রের সুবিধার জন্যও।’
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে আজ চরাঞ্চলের খামারিরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হতে পারছেন।’
চরাঞ্চলের মানুষের জন্য মন্ত্রণালয়ের ‘উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রকল্প থেকে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। চরাঞ্চলের মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা রকম সমস্যার মধ্যে থেকে জীবন ও জীবিকা নিয়ে লড়াই করতে হয়।
‘তাদের উৎপাদিত প্রাণিসম্পদ যাতে যথাযথ মূল্যে বিক্রয় করা হয় এবং তারা যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা রয়েছে।’
মন্ত্রী এ সময় চরাঞ্চলের খামারিরা পশু নিয়ে যেন কোনোরকম সংকটে না পড়েন তা নিশ্চিত করতে জেলা-উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।