দৈর্ঘ্যে ৪০ ইঞ্চি, উচ্চতাতেও প্রায় ৪০ ইঞ্চি। ওজন ৯৬ কেজি। এই বিশালাকার কাশ্মীরি খাসি দুই বছর চার মাস ধরে লালন-পালন করে বড় করেছেন নীলফামারীর রতন চক্রবর্তী।
রতনের বাড়ি ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের আঠিয়াবাড়ি কাচারীপাড়া এলাকায়। এই এলাকায় কাশ্মীরি জাতের খাসি খুব একটা দেখা যায় না।
রতন জানান, দুই বছর আগে সৈয়দপুর শহর থেকে ১২ হাজার টাকায় কিনে আনেন খাসিটি। সে সময় এর বয়স ছিল চার মাস।
একটু একটু করে বড় করেছেন এ বছরের কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য। দাম চান এক লাখ টাকা।
প্রতিদিন এই খাসিকে দিতে হয় ঘাস, খড়, ভুসি, ফিড, পাতা। প্রতিদিন এর খাবারের জন্য খরচ হয় গড়ে প্রায় ২০০ টাকা।
এই খাসি পরিচর্যায় পরামর্শ দেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারাও।
কিছুদিন আগে প্রাণিসম্পদ দিবসের প্রদর্শনীতে একে নিয়ে গেলে উপহার হিসেবে দেড় হাজার টাকা দেয় কর্তৃপক্ষ।
রতন জানান, গত পাঁচ বছরে এই জাতের চারটি খাসি প্রায় আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করে কিনেছেন গরু। এখন এই একটিই বাকি আছে। অনেকেই কেনার জন্য দেখে যাচ্ছেন।
এই খাসিকে বড় করে তোলায় শুধু রতনের নয়, আছে তার বাবা অমল চক্রবর্তীর অবদানও।
অমল চক্রবর্তী জানান, ১৯৭২ সাল থেকে তিনি খাসি পালন শুরু করেন। সে সময় ৭০ টাকা দিয়ে একটি খাসি কিনেছিলেন। ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়তে থাকে। খাসি দিয়ে তার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখন খাসির পাশাপাশি আছে ১৮টি গরু।
কিনেছেন চাষের জন্য জমিও। ১০ বিঘা জমিতে ফলান নানা রকম শস্য।
প্রতিবেশী কমল চন্দ্র রায় বলেন, ‘তার দেখে আমিও খাসি পালন শুরু করি। এখন আমার পাঁচটি খাসি ও দুটি গরু আছে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘রতন চক্রবর্তী বেশ কয়েক বছর ধরে এই জাতের খাসি লালন করছেন। সচরাচর এ জাতের খাসি লালন-পালন করা হয় না আমাদের এদিকে। তবে অনেকে শৌখিনভাবে শুরু করেছেন।
‘যদি কেউ বাণিজ্যিকভাবে করতে চান কোনো সমস্যা নেই, করতে পারেন। লাভবানও হতে পারবেন। প্রাণিসম্পদ বিভাগ তাকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করবে।’