স্থানীয় বাজারে দাম উঠছে না, তাই মেহেরপুরে জমিদার বাবু নামের গরুটি ঢাকার কোরবানির পশুর বাজারে নেয়া হবে। ৩১ মণ ওজনের এ গরুর দাম স্থানীয় বাজারে দশ লাখ টাকা উঠলেও খামার মালিক আশা করছেন ঢাকায় দাম বেশি পাবেন।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের খামারি এমিলি। তিনি পেশায় চাষি। কৃষি কাজের পাশিপাশি নিজ বাড়িতে দশ বছর ধরে গরু পালেন। দেড় বছর হল বাড়ির পাশে ১১টি গরু নিয়ে গড়ে তুলেছেন খামার। প্রায় শুরু থেকে জমিদার বাবুকে লালন পালন করছেন।
দুই বছর আগে জমিদার বাবুকে তিনি দুই লাখ ২০ হাজার টাকায় কেনেন। গত বছর কোরবানির ঈদে বিক্রির উদ্দেশে ঢাকার হাটে নিয়ে ভালো দাম না পাওয়ায় গ্রামে ফিরিয়ে নেন।
এবারও জমিদার বাবুকে ঢাকার কোরাবানী হাটে নেবেন এমিলি। তিনি জানান, গরুটির প্রতি দিনের খাবারের ব্যয় প্রায় ৫০০ টাকা। এর বর্তমান দাম ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা।
খামারের কর্মচারী হাবিবুর জানান, শঙ্করাইন করা ফিজিয়ান জাতের গরুটির প্রতিদিনের খাবার তালিকায় থাকে কাঁচা ঘাস, গমের ভূষি, ভাত, চিটাগুড়, শুকনা খড় ও বাজারের পচে যাওয়া আঙ্গুর, আপেল ও কলা। একে নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতে হয়।
বেশি গরম পড়লে ২৪ ঘন্টা চালাতে হয় বৈদ্যুতিক পাখা। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে বড় এই গরুটি দেখতে । ১১ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার ৩১ মন ওজনের জমিদার বাবু জেলার সবচেয়ে বড় গরু বলে জানান হাবিবুর।
মেহেরপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মেহেরপুরে এবার ৪৭ হাজার ১৫৫টি গরু, ৫৭৬টি মহিষ, এক লাখ ২৫ হাজার ৭০৬টি খাসি ও ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় এবার কোরবানির পশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৮ হাজার ৮০০টি।
কৃষিবিদ সাইদুর বলেন, ‘অতিরিক্ত পশু জেলার বাইরে পাঠানো হবে। তাছাড়া অনলাইনে গরু বেচাকেনা করতে অনলাইন পশু হাট নামে একটি পেজ খুলেছি।’