বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪৩৮ কোটি টাকায় পাঁচ লাখ পুষ্টি বাগান

  •    
  • ২২ জুন, ২০২১ ২০:২৬

প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেকটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার বসতবাড়ির অব্যবহৃত জমিতে ১০০টি করে অর্থাৎ মোট ৪ লাখ ৮৮ হাজার সবজি, ফল ও মসলা জাতীয় ফসলের পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হবে। বসতবাড়ির স্যাঁতস্যাতে জমিতে কচুজাতীয় সবজির প্রদর্শনীও স্থাপন করা হবে।

করোনা মহামারিতে খাদ্য সংকট ও দেশের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে অনাবাদি জমিতে ‘পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় ৪৩৮ কোটি ব্যয়ে পাঁচ লাখ পুষ্টি বাগান তৈরি করা হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বিএআরসি মিলনায়তনে ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্প বিষয়ক এক কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ কথা জানান।

প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেকটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার বসতবাড়ির অব্যবহৃত জমিতে ১০০টি করে অর্থাৎ মোট ৪ লাখ ৮৮ হাজার সবজি, ফল ও মসলা জাতীয় ফসলের পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হবে। বসতবাড়ির স্যাঁতস্যাতে জমিতে কচুজাতীয় সবজির প্রদর্শনীও স্থাপন করা হবে।

মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ ফসল উৎপাদনে ১০০টি কমিউনিটি বেইজড ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন পিট স্থাপন করা হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও গ্রুপ পর্যায়ে ক্ষুদ্র কৃষি যন্ত্রপাতিও দেয়া হবে। ইতিমধ্যে, এ প্রকল্পের আওতায় সবজি সংরক্ষণে ক্ষুদ্র আকারে দেশজ পদ্ধতির বিদ্যুতবিহীন ৬৪টি কুল চেম্বার স্থাপন করা হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় খাদ্যসংকট মোকাবিলা এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি পারিবারিক শাকসবজি ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে মনে করেন মন্ত্রী।

প্রকল্পটি সুষ্ঠু বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরকে তদারকির নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আমাদের মোট বাজেট ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা, সেখানে আজকে শুধু বাড়ির আঙিনায় পুষ্টিবাগান স্থাপনে ৪৩৮ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রত্যেকটি টাকার হিসাব আমাদেরকে দিতে হবে। যে উদ্দেশ্যে এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে তার কতটুকু অর্জন হলো তার গাণিতিক ও বাস্তবসম্মত হিসাব ও মূল্যায়ন করতে হবে।’

নির্বাচিত কৃষকেরা সবজি উৎপাদন করছেন কী-না, অন্যরা উৎসাহিত হচ্ছে কী-না ও উৎপাদিত সবজি খেয়ে তাদের পুষ্টির উন্নতি হচ্ছে কী-না তা যথাযথ মূল্যায়ন রাখতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্প গ্রহণের আগে গত বছর দেশব্যাপী ৪ হাজার ৪৩১টি ইউনিয়নে ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এক লাখ ৪১ হাজার পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়েছে।’

৪৩৮ কোটি টাকার ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পটি এ বছরের মার্চে একনেকে অনুমোদিত হয়। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাংলাদেশের সকল উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রকল্পের উপস্থাপনায় বলা হয়, বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি ৫৩ লাখ বসতবাড়ি রয়েছে। এসকল বসতবাড়ির অধিকাংশ জায়গা অব্যবহৃত ও পতিত পড়ে থাকে। কিছু বসতবাড়িতে অপরিকল্পিতভাবে শাকসবজি আবাদ করা হয়।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে পারিবারিক পর্যায়ে নিরাপদ মানসম্মত শাকসবজি, মসলা এবং মৌসুমী ফল উৎপাদনে সহায়ক হবে। উৎপাদিত ফসল পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কৃষকের আয় বাড়াবে।

এ বিভাগের আরো খবর