বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্ষেতে মিষ্টি কুমড়ার স্তূপ, বেচতে পারছেন না কৃষক

  •    
  • ১২ জুন, ২০২১ ০৯:৪৬

সদর উপজেলার নারগুন এলাকার কৃষক মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সাত বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করি। আশা করেছিলাম প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ভালো দাম পাব, কিন্তু বাজারের বর্তমান দামের কথা বিবেচনা করে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। খরচের টাকা উঠবে কিনা সে নিয়ে চিন্তায় আছি।’ 

গত বছর ভালো ফলনের পর সন্তোষজনক দাম পাওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে এবার অনেক চাষি বিস্তীর্ণ জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেন। কৃষি বিভাগের বিনা মূল্যের বীজ ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় ফলন ভালো হয়েছে। তবে উৎপাদন খরচের অনুপাতে দাম কম হওয়ায় বিক্রি করা যাচ্ছে না, ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে কৃষকের কষ্টের মিষ্টি কুমড়া।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় এ বছর ১ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে খরিপ-১ জাতের মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়। আর রবি জাতের মিষ্টি কুমড়া হয় ৯৫০ হেক্টর জমিতে। জেলায় এবার সুইটি, মিতালি, সিটি সেরা ও সোহাগীসহ নানা জাতের মিষ্টি কুমড়া আবাদ করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা জানান, সদর উপজেলার নারগুন, ভুল্লি, বড় বালিয়া, ছোট বালিয়া, আউলিয়াপুর, পুরাতন ঠাকুরগাঁও, আখানগর, ঢোলারহাট এলাকায় মিষ্টিকুমড়ার ফলন ভালো হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি কুমড়া ক্ষেত থেকে তুলে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। দাম কম হওয়ায় অনেকেই বিক্রি করতে না পেরে কুমড়া জমিতেই রেখে দিয়েছেন। এতে বিপুল পরিমাণে কুমড়া পচে যাচ্ছে।

আকচা ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, ‘এবার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনা মূল্যে বীজ ও প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ কারণে ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে মিষ্টি কুমড়ার দাম না থাকায় কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের চাষি হাবলু বলেন, ‘গত বছর ভালো ফলনের পর সন্তোষজনক দাম পাওয়ায় এ বছর মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছিলাম। এ মৌসুমে ২৮ একর জমিতে কুমড়া লাগাই। কিছুদিন আগে বাজারে মণপ্রতি দাম ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা থাকলেও এখন এক থেকে দেড় শ টাকায় মণ বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে লোকসানের মুখে পড়লাম।’

সদর উপজেলার নারগুন এলাকার কৃষক মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সাত বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করি। আশা করেছিলাম প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ভালো দাম পাব, কিন্তু বাজারের বর্তমান দামের কথা বিবেচনা করে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। খরচের টাকা উঠবে কিনা সে নিয়ে চিন্তায় আছি।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে দুই ধরনের মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে, এর মধ্যে খরিপ-১-এর বিক্রি শেষের দিকে।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, ‘জেলায় এবার মিষ্টি কুমড়ার ভালো ফলন হয়েছে। এখন দাম কিছুটা কম থাকলেও সামনে বাড়বে বলে আশা করছি।’

তিনি জানান, কৃষকের মাঝে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়ার বীজ বিতরণ করা হয়েছিল। মাঠপর্যায়েও কৃষককে প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও বিভিন্ন সহায়তা দেয়া হয়েছিল।

এ বিভাগের আরো খবর