বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাশরুমের চাষে সম্ভাবনা দেখছে সরকার

  •    
  • ৭ জুন, ২০২১ ০০:১৪

দেশে প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন মাশরুম উৎপাদন হচ্ছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। প্রায় দেড় লাখ মানুষ মাশরুম ও মাশরুমজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত।

দেশের কৃষি-অর্থনীতিতে মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায় সরকার। আর তাই মাশরুম চাষ সম্প্রসারণে নতুন প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

রাজধানীর সাভারে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে রোববার মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে অর্থকরী ফসল মাশরুম চাষের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে। ইতিমধ্যে মাশরুমের উন্নত জাত ও চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। এখন সারা দেশে দ্রুততার সঙ্গে কৃষক ও উদ্যোক্তা পর্যায়ে সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করা প্রয়োজন। সে জন্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলছে।’

কৃষিবান্ধব নীতি ও নানা প্রণোদনার ফলে ১২ বছরে কৃষিতে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন হয়েছে বলে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের এখন লক্ষ্য কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও লাভজনক করা এবং সবার জন্য পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে মাশরুমের সম্ভাবনা অনেক। এটির চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করতে পারলে তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।’

এর মধ্য দিয়ে বেকারত্ব কমবে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘যারা চাকরির জন্য চেষ্টা করছে, তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা করতে পারলে মাশরুমের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি হবে। মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিগুণসম্পন্ন হওয়ায় সহজেই মানুষের পুষ্টি চাহিদার অনেকটা পূরণ হবে।’

মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন মাশরুম প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। প্রায় দেড় লাখ মানুষ মাশরুম ও মাশরুমজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত।

অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ প্রায় সব দেশই মাশরুম আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাশরুম রপ্তানির অনেক সুযোগ রয়েছে।

এ সময় ‘বাংলাদেশে মাশরুম চাষের প্রয়োজনীয়তা, সুযোগ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক ফেরদৌস আহমেদ।

প্রবন্ধে বলা হয় বলেন, মাশরুম চাষ করার জন্য কোনো আবাদি জমির প্রয়োজন হয় না। ঘনবসতিপূর্ণ ও দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার বাংলাদেশে খাবারের চাহিদা বাড়ছে অথচ খাবার যোগান দেয়ার জমি প্রতিবছর কমছে। এই অবস্থায়, অনুৎপাদনশীল ফেলনা জমির স্বল্প পরিমাণ ব্যবহার করেই বিপুল পরিমাণ মাশরুম উৎপাদন করা যায়।

বাংলাদেশের আবহাওয়া মাশরুম চাষের জন্য উপযোগী জানিয়ে প্রবন্ধে বলা হয়: ‘দেশে মাশরুম চাষের উৎপাদন মাধ্যমের (যেমন খড়) পর্যাপ্ততা রয়েছে। মাশরুম চাষ পরিবেশবান্ধব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহনশীল।’

এ পর্যন্ত মাশরুমের ১৬২টি জাত দেশে এনেছে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট। দেশে চাষের উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের পাহাড়ি ও বনাঞ্চল থেকেও ১৪০টি জাত সংগ্রহ করা হয়েছে।

এছাড়া, ইনস্টিটিউটে মান নিয়ন্ত্রণ ও মান নিশ্চিত করতে আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ল্যাবে মাশরুমের পুষ্টি ও ঔষধিগুণসহ ভিটামিন, মিনারেল নির্ণয় করা হচ্ছে।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জরুল আলম রাজিব, পৌর মেয়র আব্দুল গণি।

এ বিভাগের আরো খবর