বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাগেরহাটে ভেসে গেছে ৫ হাজার চিংড়িঘের

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ১৭:২৮

শরণখোলার তাফালবাড়ী এলাকার মিজান গাজী বলেন, ‘মুই গরিব মানুষ ভাই। এনিজও ও এলেকার বিভিন্ন মানুর কাছ থাইক্কা টাহা-পয়সা ধারদেনা কইরা ৩ বিঘার দুইডা ঘের করছেলাম। এই ঘেরের টাহায় মোর সংসার চলে। মুই তো পথের ফহির হইয়া গেলাম।’

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটে ভেসে গেছে ৫ হাজার চিংড়িঘের। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকার।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, জোয়ারের পানিতে ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়তে পারে।

জোয়ারের পানিতে বুধ ও বৃহস্পতিবার ওই মাছের ঘেরগুলো ভেসে যায়। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রামপাল, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার চাষিরা।

এসব উপজেলার চিংড়িচাষিরা নেট ও পাটা দিয়ে ঘের রক্ষার শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন।

রামপাল উপজেলার হুকরা গ্রামের চাষি মনোরঞ্জন ঢালি বলেন, ‘গতকাল পানিতে আমার ১২ বিঘার তিনটি ঘেরের মধ্যে দুটি পুরোপুরি ভেসে যায়। একটি আংশিক ডুবেছিল। নেট ও পাটা দিয়ে ঘেরটি রক্ষার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সেটিও আজ ভেসে গেছে।

‘এতে আমার ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার মতো অন্য ঘেরমালিকও তাদের ঘের রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে জোয়ারের পানির তোড়ে অধিকাংশ ঘেরই ভেসে গেছে।’

শরণখোলার তাফালবাড়ী এলাকার মিজান গাজী বলেন, ‘মুই গরিব মানুষ ভাই। এনিজও ও এলেকার বিভিন্ন মানুর কাছ থাইক্কা টাহা-পয়সা ধারদেনা কইরা ৩ বিঘার দুইডা ঘের করছেলাম। এই ঘেরের টাহায় মোর সংসার চলে। মুই তো পথের ফহির হইয়া গেলাম।’

মোড়েলগঞ্জের জিউধরা ইউনিয়নের নিশানবাড়ীয়া গ্রামের আফজাল শরীফ বলেন, ‘ভাই, মোগো এইহানে এহন আর মোর আর তার নাই, সব এহন সমান। নেট-পাটা দিয়াও ঘের রাখতে পারি নাই, সব ডুইব্বা গেছে। কাইলগোর থাইকা আইজগো পানি আরও বাড়ছে।’

মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রামপাল, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের ভেসে গেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, এতে ক্ষতি প্রায় ৫ কোটি টাকা। তবে এমন অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।’

বাগেরহাট মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার রামপাল উপজেলায় ৪ হাজার ৮৩৭টি, মোংলায় ৫ হাজার ৬০১টি, শরণখোলায় ১ হাজার ৩৪২টি ও মোড়েলগঞ্জে চিংড়িঘের রয়েছে ৯ হাজার ৯২০টি।

জেলায় ৭১ হাজার ৮৮৬ হেক্টর জমিতে বাগদা ও গলদা চিংড়ির ৮১ হাজার ৩৫৮টি ঘের রয়েছে। আর চিংড়িচাষি রয়েছেন ৭৯ হাজার ৭৩৬ জন।

এ বিভাগের আরো খবর