বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পরিণত হয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে ফসলহানিরোধে পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বোরো ধান ৮০ ভাগ পরিপক্ক হলেই কেটে দ্রুত সংগ্রহ করতে হবে।
ফসল পরিবহন সম্ভব না হলে মাঠে গাদা করে পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। এতে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফসলের ক্ষতি হবে না।
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পরিণত হওয়ার খবর জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে ২৫ থেকে ২৭ মে দেশের উপকূলসহ ৩০টি জেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১০ দফা পরামর্শ দিয়েছে।
দ্রুত পরিপক্ব সবজি ও ফল, বিশেষ করে আম ও লিচু সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। বলছে, সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে।
দণ্ডায়মান ফসলকে পানির স্রোত থেকে রক্ষায় বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখতে যেন জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে।
খামারজাত সব পণ্য নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখার পাশাপাশি আখের ঝাড় বেঁধে দেয়া, কলা ও অন্যান্য উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল এবং সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করার কথাও বলেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
পুকুরের চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে রাখতে বলা হয়েছে, যাতে ভারি বৃষ্টিতে মাছ ভেসে না যায়। আর গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি রাখতে বলা হয়েছে শুকনো ও নিরাপদ জায়গায়।