বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘চালের মান ঠিক রেখে, সঠিকভাবে শতভাগ সংগ্রহ সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট’ নামের অ্যাপ দিয়ে খুলনায় সরকারি চাল কেনা কর্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। বুধবার সকালে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনো স্বপ্ন নয়। এটা এখন বাস্তবতা। প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকও এখন এর সুবিধা পাচ্ছে।’
‘কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এবারের বোরো সংগ্রহে ধান-চাল ক্রয়ে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং কোনোভাবেই কৃষককে হয়রানি করা যাবে না।’
চলতি বোরো মৌসুমে প্রতিটি জেলার খাদ্য অফিসে ১৩টি নির্দেশনা পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা মেনে এ বছর কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট’ অ্যাপের সুবিধার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘এর মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান এবং মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয়ের ফলে একদিকে যেমন অল্প সময়ের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে; অপরদিকে খাদ্য বিভাগ, কৃষক এবং মিলারদের মধ্যে দ্রুত সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে গতি আনয়ন করা সম্ভব হবে।’
গত মৌসুমে খুলনা জেলায় ‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট’ অ্যাপ দিয়ে মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনা শুরু হয়।
খুলনার জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুম, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, খুলনা জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, খুলনা জেলার কৃষক ও মিলমালিক প্রতিনিধি, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।