বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কালবৈশাখীতে ৩০৮ হেক্টর ফসলের ক্ষতি

  •    
  • ১১ মে, ২০২১ ২০:৩৭

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঝড়ে মান্দা উপজেলার ১৩৮ হেক্টর পাট, ৩০ হেক্টর তিল, নিয়ামতপুর উপজেলার ১১০ হেক্টর বোরো ধান এবং মহাদেবপুর উপজেলার ২০ হেক্টর বোরো ধান, পাঁচ হেক্টর পাট ও পাঁচ হেক্টর মরিচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নওগাঁয় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমিতে কেটে রাখা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দা উপজেলা।

এই জেলায় সোমবার মাঝরাতের পর থেকেই শুরু হয় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। ভোরের দিকে ঝড়, শিলাবৃষ্টি থেমে গেলেও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস হয়েছে।

ঝড়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু কিছু বাড়ির চালে শিল পড়ে বড় বড় ছিদ্র হয়েছে, কোথাও কোথাও ভেঙে গেছে পুরনো টিন। ঝোড়ো বাতাসে কিছু বাড়ির চালও উড়ে গেছে।

মান্দার মৈনম ইউনিয়নের বৌদ্ধপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের তাইজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, হঠাৎ করেই প্রচণ্ড বেগে ঝড় শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরই তার আধাপাকা ঘরের টিনের চালা উড়ে গিয়ে পাশে পড়ে। রাত থেকেই স্ত্রী, সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঝড়ে মান্দা উপজেলার ১৩৮ হেক্টর পাট, ৩০ হেক্টর তিল, নিয়ামতপুর উপজেলার ১১০ হেক্টর বোরো ধান এবং মহাদেবপুর উপজেলার ২০ হেক্টর বোরো ধান, পাঁচ হেক্টর পাট ও পাঁচ হেক্টর মরিচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জমিতে পানি জমায় কেটে রাখা ধান ভিজে নষ্ট হচ্ছে। যে ধানগুলো এখনও কাটা হয়নি সেগুলো জমিতে পড়ে গেছে। ভেঙে গেছে ভুট্টা, পাট ও কলাগাছ।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কামরুল আহসান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের টিন ও টাকা দেয়া হবে। তবে বৃষ্টির কারণে কাজে একটু দেরি হচ্ছে।’

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুল ওয়াদুদ জানান, জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটা রিপোর্ট তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ক্ষতির পরিমাণ জানতে প্রায় এক সপ্তাহ লাগতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর