বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতি ঘণ্টায় হারভেস্টার কাটছে ১ একরের ধান

  •    
  • ১০ মে, ২০২১ ১১:৩৯

কৃষি বিভাগ দাবি করছে, কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদের জন্য যান্ত্রিকীকরণের বিষয় উৎসাহ দিচ্ছে ও সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার  জন্য কৃষকদেরকে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। গত ২৩ এপ্রিল থেকে বানিজ্যিকভাবে ধান কাটা শুরু করেছেন হুমায়ুন। গত ১৭ দিনে তিনি আড়াই লাখ টাকা আয় করেছেন।

ঝালকাঠিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের জন্য কেনা হয়েছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন। তা দিয়ে এরইমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে।

বাণিজ্যিকভাবে এই মেশিনের মাধ্যমে ঘণ্টায় এক একর জায়গার ধান কাটার পাশাপাশি মাড়াই-ঝাড়াইয়ের পর বস্তাভর্তি করা হয়। ফলে কৃষকের মজুরী সাশ্রয় হচ্ছে। এখন কৃষক ধান বস্তাবন্দী করে অল্প সময়েই মাঠ থেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছে।

কম সময়ে মেশিনে ধান কেটে ও মাড়াই করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের আগবাড়ি গ্রামের কৃষক হুমায়ুন কবির। তিনি প্রকল্পের সহায়তা নিয়ে এ যন্ত্র কিনেছেন। নীতিমালা অনুযায়ী ২৮ লাখ টাকা মুল্যের যন্ত্রটির জন্য সরকার ৫০ শতাংশ হারে ১৪ লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়েছে।

হুমায়ুন নিজের জমির ধান কাটার পরে মেশিনটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে লাভবান হতে পারবেন বলে আশাবাদী।

কৃষি বিভাগ জানায়, কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদের জন্য যান্ত্রিকীকরণের বিষয়ে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য কৃষকদেরকে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে।

গত ২১ এপ্রিল কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনটি কিনে ২৩ এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিকভাবে ধান কাটা শুরু করেছেন হুমায়ুন। গত ১৭ দিনে তিনি আড়াই লাখ টাকা আয় করেছেন।

হুমায়ুন নিউজবাংলকে জানান, বিভিন্ন এলাকায় মেশিন নিয়ে গিয়ে ৫০ একর জমির ধান কেটেছেন। তার ধান কাটার এ ব্যবসায় মেশিন চালনাসহ ৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।

তিনি একর প্রতি ধান কাটার জন্য ৮ হাজার টাকা করে নেন। এক একর জমির ধান কাটার জন্য প্রায় ১২ লিটার জ্বালানি খরচ হয়। যার মূল্য এক হাজার টাকার মতো। তার কাছে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার আগরবাড়ি গ্রামের নাসির উদ্দিন হাওলাদারের জমির ধান রোববার এই মেশিন দিয়ে কাটা হয়। এ ধরনের মেশিন ঝালকাঠিতে এই প্রথম আসায় ধান কাটা দেখার জন্য জমিতে ভিড় করছেন অনেকে।

কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, এই মেশিন দিয়ে ধান কাটায় তার অন্য সময়ের খরচের চেয়ে অর্ধেক টাকা লেগেছে। ঝাড়াই-মাড়াইয়ের সময় সাশ্রয় হয়েছে।

একই এলাকার কৃষক হেময়েত উদ্দিন জানান, এলাকায় ধান কাটার জন্য কৃষিশ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদের দিয়ে ধান কাটার খরচ অনেক বেশি। এই ধরনের মেশিন ব্যবহারে কৃষকের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ফজলুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, আধুনিক চাষাবাদের জন্য যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। ঝালকাঠি জেলায় বোরো মৌসুমের আবাদের ৭৫ ভাগ ধান ইতিমধ্যে কাটা শেষ হয়েছে।

কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে কৃষক অনেক সুবিধা পাচ্ছেন। ধান কাটার সাথে সাথে মাড়াই-ঝাড়াই হয়ে তা বস্তাবন্দি করা যাচ্ছে। এতে কৃষকের ধান কাটা ও মাড়াই খরচের সাশ্রয় হচ্ছে। ধান কাটার সময় কম লাগছে।

এ বিভাগের আরো খবর