বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত আরও ২ লাখ খামারি পাবেন প্রণোদনা

  •    
  • ৯ মে, ২০২১ ১৯:১৫

করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ লাখ খামারিকে ৫৫৪ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সরকার। বিশেষ এ সহায়তার আওতায় আসছেন আরও ২ লাখ খামারি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন।

করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ লাখ খামারিকে ৫৫৪ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। আরও ২ লাখ খামারিকে ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মন্ত্রী বলেন, ‘তালিকা যাচাই-বাছাই চলছে। এটি ঋণ নয়। ছোট ছোট প্রান্তিক খামারিরা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন, সেজন্য এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’

সচিবালয়ের নিজ কক্ষে করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গৃহীত কার্যক্রম ও সমসাময়িক বিষয়ে রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনাকালে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পুষ্টি ও আমিষের প্রয়োজন মেটাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর কাজ করছে।

‘এজন্য করোনা মহামারিতে খামারিদের মাধ্যমে, গ্রুপভিত্তিক ভ্রাম্যমাণ দল গঠন করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে মন্ত্রণালয়ের দপ্তর-সংস্থার মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় উৎপাদিত দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

এ ব্যবস্থায় চলতি বছর সারা দেশে ২২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

দেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, গত বছর এ ব্যবস্থায় প্রায় ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করা হয়। এতে উৎপাদক ও খামারিদের পাশাপাশি ভোক্তারাও উপকৃত হয়েছেন।

চলমান লকডাউনে অনেক দপ্তরের কাজ বন্ধ থাকলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সেবা দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে খামারিদের সমস্যা সমাধানে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃত্রিম প্রজনন, টিকাদান, চিকিৎসা, পরামর্শ সেবা, সরকারি খামারে রেণু-পোনা উৎপাদন ও সরবরাহ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর বাচ্চা উৎপাদন ও বণ্টন অব্যাহত রাখা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর