বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুরান চাল দেয়া যাবে না, মিল মালিকদের খাদ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৮ মে, ২০২১ ১৮:২৩

সরকারের চাল কেনা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মিল মালিকদের সতর্ক করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চালের মান নিয়ে কোনো আপস নেই এবং কোনভাবেই পুরাতন চাল দেয়া যাবে না। এবারের বোরো ধানের চাল দিতে হবে।’

বোরো মৌসুমে সরকারের চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে পুরান চাল না দিতে মিলারদের সতর্ক করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সারা দেশ থেকে এবার ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৩৯ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কিনবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। শনিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

এ সময় চালের মিল মালিকদের সতর্ক করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চালের মান নিয়ে কোনো আপস নেই এবং কোনভাবেই পুরাতন চাল দেয়া যাবে না। এবারের বোরো ধানের চাল দিতে হবে।’

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মুখে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধান-চাল সংগ্রহের মাধ্যমে মজুতের গতি বাড়ানোর নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে আমরা যেমন যুদ্ধ করছি, তেমনি করোনা পরবর্তী খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করার জন্যও আমাদেরকে এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে।’

২৮ এপ্রিল থেকে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান কেনা শুরু হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ছয়টি বিভাগের প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও মিল মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনলাইনে সভা করেছি। সেখানে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে চলমান বোরো সংগ্রহ সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

কোন মাসে কী পরিমাণ সংগ্রহ করা হবে তার একটা পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।

মিল মালিকদের সঙ্গে চুক্তির নীতিমালা অনুযায়ী বিভাজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নিকট পাঠানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল (রোববার) চুক্তির শেষদিন। কোনভাবেই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে না।

‘সংগ্রহ অভিযান চলাকালে কৃষকরা সরাসরি গুদামে গিয়ে ধান বিক্রি করছে। চাল সরবরাহের জন্য মিলারগণ খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।’

গুদামে ধান দেবার সময় কৃষককে যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হতে না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে, তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে বলেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমানারা খানুম। অনলাইন আলোচনায় অন্যদের মধ্যে যুক্ত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য মনোয়ার হোসেন, দেশের প্রতিটি বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, প্রতিটি বিভাগ ও জেলার খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মিল মালিক প্রতিনিধিরা।

এ বিভাগের আরো খবর