বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাদ্যসংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে ব্রি৮১ ধান: মন্ত্রী

  •    
  • ৬ মে, ২০২১ ১৫:৫৫

মন্ত্রী বলেন, ‘ব্রি৮১ জাতের ধানের ফলন অনেক ভালো। বিঘাপ্রতি ৩১ মণ, প্রতি শতকে প্রায় ১ মণ। এটি জনপ্রিয় ব্রি২৮ ও ব্রি২৯ জাতের মতো।’

দেশের জনসংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকলেও নানা কারণে কমছে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ। এমন বাস্তবতায় ব্রি৮১-এর মতো নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করে খাদ্যসংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বৃহস্পতিবার ব্রি৮১ জাতের ধান কাটা ও কৃষক সমাবেশে যোগ দিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ১৭ কোটি মানুষ রয়েছে। আর প্রতি বছর বাড়ছে ২২-২৩ লাখ করে। অন্যদিকে নানা কারণে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ কমছে; রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবও।

‘এ অবস্থায় দেশের মানুষকে খাওয়ানো, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।’

ফসলের অনেক নতুন জাত ও চাষাবাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবন হওয়ার কারণে জনসংখ্যা ক্রমে বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘ব্রি৮১ জাতের ধানের ফলন অনেক ভালো। বিঘাপ্রতি ৩১ মণ, প্রতি শতকে প্রায় ১ মণ। এটি জনপ্রিয় ব্রি২৮ ও ব্রি২৯ জাতের মতো।

‘এ দুটি ধান দীর্ঘদিন ধরে চাষ হচ্ছে। কিন্তু উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। সে জন্য এই নতুন ব্রি৮১ জাতটি কৃষক পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

এই ধান আবাদে চাষিরাও খুব আগ্রহ দেখাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অচিরেই ব্রি৮১ জনপ্রিয়তায় ব্রি২৮-এর মতো হবে। এ উচ্চফলনশীল জাতটি চাষের মাধ্যমে ধান উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় এটি আশানুরূপ ভূমিকা রাখবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর।

তিনি বলেন, ‘ব্রি ধান৮১, ব্রি ধান২৮ জাতের পরিপূরক। কিন্তু এটি ব্রি ধান২৮-এর চেয়ে চিকন। ঝড়বৃষ্টিতে ব্রি ধান২৮ হেলে পড়লেও নতুন ব্রি ধান৮১ হেলে পড়ে না।’

এ জাতের ধান পাকার পরও পাতাগুলো সবুজ থাকে জানিয়ে শাহজাহান কবীর বলেন, ‘মাঝারি উঁচু জমি থেকে উঁচু জমিতে খুব ভালো ফলন দেয়। নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ অঞ্চলে এই ধানের ফলন অনেক ভালো পাওয়া যায়। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ৬.৫ থেকে ৭ মেট্রিকটন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রান্না করার পর এটি বাসমতির মতো দেড় গুণ লম্বা হয়ে যায়। এই চালে অ্যামাইলোজ বেশি, যার পরিমাণ ২৫ শতাংশের ওপর। ভাত ঝরঝরে ও খেতে সুস্বাদু।

‘ধান থেকে তৈরি আতপ চাল বিদেশে রপ্তানিযোগ্য। এতে প্রোটিন থাকে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ব্রি ধান২৮-এ থাকে মাত্র ৮ শতাংশ।’

সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বিএডিসির চেয়ারম্যান অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আসাদুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি হামিদুর রহমান, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বারির মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক নজরুল ইসলামসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের আরো খবর