বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই টন ধান পাওয়া রংপুরে লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার টন

  •    
  • ৬ মে, ২০২১ ০২:০১

রংপুরে বিপুল পরিমাণ ধান-চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও গত আমন মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে মাত্র দুই টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছিল খাদ্য বিভাগ। এরমধ্যে জেলার সাত উপজেলা থেকে এক কেজি ধানও সংগ্রহ করা যায়নি।

রংপুরের আট উপজেলা থেকে চলতি বোরো মৌসুমে ১৭ হাজার ৪০৩ টন ধান এবং ২৮ হাজার ১৭১ টন চাল কিনবে খাদ্য বিভাগ। যদিও গত আমন মৌসুমে এ বিভাগ থেকে মাত্র দুই টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছিল খাদ্য বিভাগ।

মঙ্গলবার বিকেলে রংপুর সদর খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।

রংপুর খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, এ মৌসুমে সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৩৯৫ টন, বদরগঞ্জে ২ হাজার ১৪, মিঠাপুকুরে ৫ হাজার ৭৭১, পীরগঞ্জে ৬ হাজার ৫৮৪, তারাগঞ্জে ৪ হাজার ১০৯, গংগাচড়ায় ১ হাজার ২৭, কাউনিয়ায় ১ হাজার ৯১৪ এবং পীরগাছা উপজেলায় ২ হাজার ৩৫৭ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন চালকল মালিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে ২৮ হাজার ১৭১ টন চাল। এর মধ্যে মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে ১ হাজার ৮৭ টন, সদর উপজেলায় ১ হাজার ৪১, বদরগঞ্জে ২ হাজার ৪০০, মিঠাপুকুরে ৪ হাজার ৩৪৮, পীরগঞ্জে ২ হাজার ৬৮২, তারাগঞ্জে ১ হাজার ৯৮, গংগাচড়ায় ১ হাজার ৫১৭, কাউনিয়ায় ১ হাজার ১২ এবং পীরগাছায় ২ হাজার ২১৮ টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বিপুল পরিমাণ ধান-চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও গত আমন মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ১০ হাজার ৩৮২ টনের মধ্যে মাত্র দুই টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছিল খাদ্য বিভাগ। এরমধ্যে জেলার সাত উপজেলা থেকে এক কেজি ধানও সংগ্রহ করা যায়নি। পীরগঞ্জ থেকে মিলেছিল মাত্র দুই টন ধান।

এ ছাড়া ১৭ হাজার ৬৩৮ টন সিদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত থাকলেও মিলাররা সরবরাহ করে ১ হাজার ৫৩৫ টন চাল।

রংপুর খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় নিবন্ধিত অটোরাইস মিলসহ হাসকিং মিলার রয়েছেন ৮৮০ জন। আমন মৌসুমে চাল দেয়ার জন্য ৮১ জন চুক্তি করলেও চাল দিয়েছেন মাত্র ৩০ জন।

এ বছর ৫ মে পর্যন্ত একজন মিলারও চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ হননি। তবে ৯ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এই সময় পর্যন্ত তারা খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ মৌসুমে রংপুর সদর, মিঠাপুকুর ও তারাগঞ্জ উপজেলায় কৃষক অ্যাপের মাধ্যমে ৭ মে থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চাল ও ধান সংগ্রহ করা হবে। বাকি পাঁচ উপজেলায় লটারির মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।

ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে কেজিপ্রতি ২৭ টাকা। আর চালের দাম ধরা হয়েছে কেজিতে ৪০ টাকা।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদের জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধান সংগ্রহে সহযোগিতা করা হবে। কোনো অনিয়মের বিষয়ে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর