দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বৃষ্টি হলো আম উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ চাঁপাইনবাবগঞ্জে। ফলটি পরিপক্ব হওয়ার আগে এই বৃষ্টি আশীর্বাদ বয়ে আনবে বলে জানিয়েছেন বাগানমালিক ও ফল বিজ্ঞানীরা।
দীর্ঘ খরায় আমের বৃদ্ধি ব্যাহত হলেও বৃষ্টির ফলে আকার দ্রুত বাড়বে বলেও আশা করছেন তারা।
প্রায় ৬ মাস ২৫ দিন পর, মঙ্গলবার রাতে শুরু হয় বৃষ্টি। প্রথমে হালকা ঝড়ো হওয়ার পর প্রকৃতিতে নেমে আসে প্রশান্তির বৃষ্টি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলার সবখানেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলা শিবগঞ্জে সবচেয়ে বেশি ২০ মিলিমিটার করে, নাচোল ও গোমস্তাপুরে ১০ মিলিমিটার এবং ভোলাহাটে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর হওয়া বৃষ্টিতে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে আমের বাগানমালিকদের। কারণ, খরায় ঝরে যাচ্ছিল আম, হচ্ছিল না কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি। বিকল্প হিসেবে দেয়া হচ্ছিল সেচ। এতে খরচ বাড়ছিল।চাঁপাইনবাবগঞ্জে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয় শিবগঞ্জ এলাকায়।
ওই এলাকার আম বাগানমালিক ও শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কোঅপারেটিভ সোসাইটির সেক্রেটারি ইসমাইল খান শামীম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃষ্টির ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমচাষিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে, এমন বৃষ্টির জন্য আমরা অনেক দিন থেকেই অপেক্ষায় ছিলাম।’
সদর উপজেলার আম ব্যবসায়ী একরামুল হক বলেন, ‘শ্যালো মেশিন দিয়ে বাগানে পানি দিয়ে খুব বেশি লাভ হচ্ছিল না। আকাশের পানি আর সেচের পানির মধ্যে আকাশপাতাল তফাৎ। বৃষ্টি হওয়াতে আমের জন্য উপকার হবে।’
বাগানমালিক মতিউর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টিতে আমের বাগানে সজীবতা ফিরেছে। আমগুলো দেখে সতেজ মনে হচ্ছে। আরও দুই-চারবার বৃষ্টি হলে আমরা আরও ভালো ফলন পাব, আমের আকারও বড় হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, ‘বৃষ্টিতে আমের বোঁটা শক্ত হবে, আকার বৃদ্ধি পাবে, রোগবালাইও কমে আসবে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত রাতের আগে সবশেষ গত ৯ অক্টোবর জেলায় বৃষ্টি হয়েছিল। তখন সপ্তাহজুড়ে প্রায় ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
আগামীতে আবার বৃষ্টি হবে জানিয়ে তারা বলছে, তখন আউশের বীজতলা তৈরিতেও কৃষককের উপকার হবে।