করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চতুর্থ দফার কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। তবে এর মধ্যেও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয়, এর অধীন দপ্তর ও সংস্থার সব অফিস কার্যক্রম চলছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সীমিত পরিসরে ও মাঠ পর্যায়ের, বিশেষ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সব অফিস স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা আছে বলে রোববার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লকডাউনের শুরু থেকেই বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষিযন্ত্র বিতরণ ও আন্তজেলা শ্রমিক পরিবহনে সহযোগিতা দেয়াসহ বিভিন্ন জরুরি কাজের জন্য অফিস খোলা রয়েছে। এ ছাড়া আউশের প্রণোদনা; সার, বীজ, কীটনাশকসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণের কাজও সুষ্ঠুভাবে চলছে।
মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিস খোলা রেখে জরুরি কার্যক্রম চলছে বলে জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরও সংস্থার মাঠ পর্যায়ের অফিসের সঙ্গে প্রণোদনা, কৃষি উপকরণ ও ধান কাটাসহ প্রয়োজনীয় বিষয়ে সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে প্রতিদিন একটি করে দল সচিবালয়ে কাজ করছে। অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল এসবের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসবের পাশাপাশি রোস্টার ভিত্তিতে উপসচিবদের নেতৃত্বে একটি ‘মনিটরিং সেল’ সচিবালয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া, কৃষিমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিব নিয়মিত সংস্থার প্রধানসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন।
অগ্রাধিকার প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ ও ই-নথির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াও এরই মধ্যে চলমান আছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এর মাঠ পর্যায়ের জেলা-উপজেলা অফিস খোলা আছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আসাদুল্লাহ নিয়মিতভাবে অফিস করছেন। তিনি ও অধিদপ্তরের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ে জরুরি প্রয়োজনে অফিস করার পাশাপাশি সরেজমিনে মাঠের কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।