বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমের দাম ও উৎপাদন নিয়ে কেন শঙ্কায় চাষি

  •    
  • ১ মে, ২০২১ ০৮:২০

একে তো অনাবৃষ্টি তার ওপর বেড়েছে নানা রকম পোকার আক্রমণ। এতে নষ্ট হতে বসেছে ফলের রং। কালচে দাগ পড়ে ফেটে যাচ্ছে আম। ফলের দাম ও উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।

গাছে গাছে এখনও কাঁচা আমের আধিক্য। মাসখানেক পর পাল্টে যাবে বাগানের চিত্র। তখন ডাল নুয়ে পড়বে পাকা ফলের ভারে। পুষ্ট ফল থেকে আসবে মনমাতানো ঘ্রাণ। জ্যৈষ্ঠের শুরুতে গাছ থেকে আম নামাবেন চাষিরা। সুমিষ্ট ফল সংগ্রহে বাগানে ভিড় থাকবে ক্রেতাদের।

এই সুখসময়ের ঠিক আগে বিপাকে পড়েছেন নওগাঁর চাষিরা। একে তো অনাবৃষ্টি তার ওপর বেড়েছে নানা রকম পোকার আক্রমণ। এতে নষ্ট হতে বসেছে ফলের রং। কালচে দাগ পড়ে ফেটে যাচ্ছে আম। দাম ও উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় আম চাষের পরিধি বেড়েছে। আবাদ হয়েছে ২৫ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে। গেল বছর আম চাষ হয়েছিল ২৪ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে। আশা করা হচ্ছে, এবার উৎপাদন হবে ৩ লাখ টন আম।

নওগাঁর পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুর, পত্নীতলার আমচাষিরা জানান, প্রায় পাঁচ মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। পানির অভাবে আশা অনুযায়ী বাড়ছে না আম। আবার গাছ থেকেও ঝরে পড়ছে।

এর সঙ্গে বাড়তি উপদ্রব হিসেবে যোগ হয়েছে হপার, উকুন পোকাসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণ ও মরিচা রোগ। কীটনাশক ব্যবহার করেও তেমন লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের।

গাছে গাছে ঝুলছে নানান জাতের আম

এ অবস্থায় বাগানের গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ক্ষীরসাপাতি, ফজলি, আমরুপালিসহ নানান জাতের আম রক্ষায় চাষিরা বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন।

সাপাহার উপজেলার পাতারি গ্রামের আমচাষি আইজুল আলম জানান, অনাবৃষ্টি, তীব্র খরা ও দাবদাহের কারণে আমে হপার পোকার আক্রমণ খুব বেশি। ১০ থেকে ১২ দিন পরপর ওষুধ স্প্রে করেও কাজ হচ্ছে না।

মহাদেবপুর উপজেলার মহেষ বাতান গ্রামের মাহফুজ হোসেন জানান, তার গাছে পোকা ও মাছির আক্রমণে আম কালো হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ঝরেও পড়ছে।

একই অভিযোগ পোরশা উপজেলার নিতপুর গ্রামের জাকির হোসেনের। তিনি জানান, আমে পোকার খুব উৎপাত। বারবার ওষুধ দিয়েও পোকা কমছে না। বৃষ্টি না থাকায় এত রোগবালাই।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপপরিচালক সামছুল ওয়াদুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নওগাঁর কিছু এলাকায় রোগবালাইয়ের কারণে আম ঝরে পড়লেও এতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় কোনো প্রভাব পড়বে না।’

তিনি জানান, যাদের আমে মরিচা রোগসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে তাদের কৃষি বিভাগ থেকে অ্যামিস্টার টপ জাতীয় কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর