বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিঠামইনে ধানকাটা উৎসবে কৃষিমন্ত্রী

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:২৫

‘হাওরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান হয়, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ ধান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, কোনো কোনো বছর আগাম বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে যায়। এ ঝুঁকি কমাতে আমরা কাজ করছি। ১৫- ২০ দিন আগে পাকে, এমন জাতের ধানচাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’  

আগাম বন্যাসহ প্রাকৃতিক সংকটে হাওরের ফসলহানির ঝুঁকি থাকে। তাই সময়ের আগে পেকে যায়, এমন জাতের ধানচাষে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হাওরে রোববার বোরো ধানকাটা উৎসবে যোগ দিয়ে কৃষকদের মধ্যে ধানকাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার তুলে দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘হাওরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান হয়, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ ধান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, কোনো কোনো বছর আগাম বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে যায়। এ ঝুঁকি কমাতে আমরা কাজ করছি। ১৫- ২০ দিন আগে পাকে, এমন জাতের ধানচাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’

এ ছাড়া শ্রমিক সংকটের কথা চিন্তা করে দ্রুত ধান কাটা শেষ করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

হাওরের কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘হাওরের বিস্তীর্ণ জমিতে বছরে মাত্র একটি ফসল বোরো ধান হয়। এ ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে উচ্চফলনশীল জাতের ধান যেমন: ব্রিধান ৮৯, ৯২ উদ্ভাবন করেছে।

‘আমরা আপনাদের এসব উন্নত জাতের হাইব্রিড ধানের বীজ দিব। আপনার এগুলো চাষে এগিয়ে আসবেন।’

চাষযোগ্য ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য হাওরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র তৈরির কাজ চলমান বলেও জানান মন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে কৃষি ও কৃষকবান্ধব উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আজকে দিগন্ত বিস্তৃত হাওরে সোনার ধানের যে অপরূপ হাসি দেখা যাচ্ছে, দেশের কৃষকের মুখেও সে রকম অমলিন হাসি ধরে রাখতে চায় সরকার। সেজন্য, সরকার কৃষিকে লাভবান ও কৃষকের জীবনমান উন্নত করতে অত্যন্ত উদারভাবে কৃষকদেরকে সার, বীজ, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে।

উৎপাদন খরচ কমাতে ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করতে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ বিভিন্ন যন্ত্র কৃষকদের দেয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির পুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আসাদুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর, বারির মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের উপপরিচালক ছাইফুল আলম, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট বক্তব্য রাখেন।

এ বছর কিশোরগঞ্জ জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাওরে ১ লাখ দুই হাজার ৫০০ হেক্টর ও নন-হাওরে ৬৪ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত হাওরের ৫৩ শতাংশ ও নন-হাওরের ৩৯ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর