এপ্রিলের শুরুতে গরম হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার জন্য সরকার ৪২ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ও সহায়তা কর্মসূচিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলছেন, ‘সরকার চাচ্ছে ভবিষ্যতে যাতে দেশের মেহনতি কৃষক ভাইদের এমন বিপর্যয়কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে না হয়।’
রোববার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) পরিদর্শনকালে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল এবং রোগ ও পোকার আক্রমণ প্রতিরোধক উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের বিষয়ে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।’
গত ৪ এপ্রিল ঝড়ো হাওয়ায় কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, শেরপুর, গোপালগঞ্জে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কৃষি বিভাগের হিসাবে ১০ হাজার ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৫৯ হাজার ৩২৬ হেক্টর ফসলি জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় এক লাখ কৃষক।
হঠাৎ করে গরম হাওয়া এসে ফসল পুড়িয়ে দেয়ার এই বিষয়টি এর আগে কখনও ঘটেনি। এ কারণে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের নমুনা সংগ্রহ করে ব্রিতে পাঠিয়েছেন গবেষণার জন্য।
গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী
বিজ্ঞানীরা কী করছেন, সে বিষয়ে ধারণা নিতে মন্ত্রী অনেকটা হঠাৎ করেই ধান গবেষণার মাঠে এসে হাজির হন।
তিনি প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখেন এবং ব্রির মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীরসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলাপ করেন।
এ সময় ব্রির গবেষণা মাঠে উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল ধান, বিভিন্ন রোগ ও পোকার আক্রমণ প্রতিরোধী ধানের জাত, অধিক ফলনশীল ধান, হাইব্রিড ধান এবং দেশ-বিদেশ থেকে সংগৃহীত কালো ধানসহ বিভিন্ন উন্নত মানসম্পন্ন ধানের প্রদশর্নী প্লট পর্যবেক্ষণ করেন।