বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশি প্রজাতির রক মেলন, হানিডিউ চাষে সাফল্য

  •    
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১২:৪৭

পুষ্টিগুণ সম্পন্ন, সুস্বাদু বিদেশি প্রজাতির রক ও হানিডিউ মেলনের বাজার সম্প্রসারিত হলে স্বল্প জমিতেই অল্প পরিশ্রমে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা কৃষক ও বিশেষজ্ঞদের।

সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার শাহানগাছা গ্রামের উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম মিলন। হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ক্যান্টালাপ প্রজাতির রক মেলন ও হানিডিউ চাষে পেয়েছেন সফলতা।

তা ছাড়া স্বাদ ও বর্ণের পাশাপাশি পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনেক উপকারী এই ফল জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে দ্রুত।

মাত্র আড়াই মাস আগে দুই হাজার বর্গফুটের গ্রিন হাউজের (বিশেষ ঘর) মধ্যে হানিডিউ তরমুজের বীজ রোপণ করেন মিলন। বীজ থেকে গাছ জন্মে সেই গাছে ফল ধরেছে। এরই মধ্যে সেই তরমুজ খাওয়ার উপযোগী হয়েছে এবং বিক্রিও শুরু হয়েছে। এক বছর আগে পরীক্ষামূলকভাবে হানিডিউ তরমুজের চাষ করে সফল হন তিনি।

হানিডিউ তরমুজ দেখতে আকারে দেশিজাতের তরমুজের থেকে ছোট। এর গায়ের রঙ গাঢ় হলুদ। ভেতরটাও হলুদ রঙের। খেতেও সুস্বাদু।

কেবল হানিডিউ নয়, মিলনের ক্ষেতে হাসি ছড়াচ্ছে খসখসে আবরণের মিষ্টি কুমড়োর মত সবুজাভ গোলাকৃতির রক মেলনও। এটা মিলনের প্রথম দফা রক মেলন ও চতুর্থ দফা হানিডিউ তরমুজ চাষ।

এই মৌসুমে হানিডিউ ও রক মেলন উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। যা থেকে তিনি ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আয় করার আশা করছেন। বারোমাস চাষ হওয়ায় লাভের অঙ্কটাও বেশি বলে জানান মিলন।

সিরাজগঞ্জের শাহানগাছা গ্রামের উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম মিলন হানিডিউ মেলন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ছবি: নিউজবাংলা

মিলন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রক মেলন ও হানিডিউ চাষ করে আমি সফল হয়েছি। আমার দেখা-দেখি অনেক চাষি এই দুই জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। স্বাদ ও রঙের কারণে রক ও হানিডিউ তরমুজ সবার দৃষ্টি কেড়েছে।’

স্বল্প জমিতে কম বিনিয়োগে অধিক লাভ হওয়ায় এ ফসলের চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার আশা জাগিয়েছে বেকার যুবকদের মধ্যেও।

মিলনের কৃষি খামারে দুইজন কর্মী গাছগুলোর পরিচর্যা করেন। তারা জানান, প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়ার মধ্যে হানিডিউ তরমুজের বীজ বপন করা হয়। এ পদ্ধতিতে মাটির প্রয়োজন হয় না। কেবল নারিকেলের ছোবড়া ও পানিতে গাছ জন্মায়।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী নিউজবাংলাকে বলেন, উদ্যোক্তা মিলনের এই বিদেশি ফল চাষে সফলতার পর এখন অনেকেই এই পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেছে। দেশিজাতের পাশাপাশি এখন ফলানো হচ্ছে থাইল্যান্ডের রক ও হানিডিউ তরমুজ। স্বল্প পুঁজি আর অল্প পরিশ্রমে রক ও হানিডিউ মেলন চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হতে পারে।

মিলনের ক্ষেতে হাসি ছড়াচ্ছে খসখসে আবরণের মিষ্টি কুমড়োর মত সবুজাভ গোলাকৃতির রক মেলন। ছবি: নিউজবাংলা

তবে এই চাষে সকল সরঞ্জামাদি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে ভ্যাট ট্যাক্সের কারণে অনেক খরচ পড়ে। তাই কৃষি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে যাতে চাষীদের কৃষি সরঞ্জামাদি আনতে ভ্যাট ট্যাক্স মওকুফ করা হয়।

এ ছাড়া উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এসব ফলের বাজার ও চাষাবাদ সম্প্রসারণে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর