বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গুটি ঝরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২১ ২১:৩৩

‘খরা চলছে। এই খরা যদি আরও দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে আমের ক্ষতি হবে। সম্ভাব্য এই ক্ষতি ঠেকাতে সেচ দেয়ার বিকল্প নাই। যাদের সেচ দেয়ার সুযোগ নেই, তারা যদি গাছে সাদা স্প্রে করে, তাতেও কিছুটা সুফল মিলবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গাছে গাছে এখন আমের গুটি।

চলতি মৌসুমে জেলায় আমের ফলন কেমন হবে, তা নির্ভর করছে এই গুটি টেকার ওপর। আমের গুটি ঝরে যায় মূলত মাটিতে রসের অভাব হলে।

আম বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিলে বৃষ্টিপাত কম হলে দেখা দেয় এই সংকট।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উত্তরের এই জেলায় সবশেষ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৯ অক্টোবর। অর্থাৎ প্রায় ছয় মাস দেখা নেই বৃষ্টির। খরার কারণে বিপাকে আমচাষিরা।

গাছ থেকে ঝরে যাচ্ছে গুটি। ক্ষতি মোকাবিলায় বাগানিদের দেয়া হচ্ছে সেচ দেয়ার পরামর্শ।

সরকারি হিসাবে, জেলার ৫ উপজেলায় আমবাগান রয়েছে ৩৪ হাজার ৭৩৮ হেক্টর জমিতে। এসব বাগানে গাছের সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ ৬৫ হাজার।

বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা গেছে, মুকুল থেকে গুটি আসার প্রক্রিয়া আছে শেষ পর্যায়ে। মটরদানা থেকে মারবেল আকার ধারণ করছে গুটি। কোনো কোনো গাছে ছোট ছোট আম দৃশ্যমান।

যারা বাগানে সেচ দিয়েছেন, তাদের গাছ থেকে গুটি ঝরেছে কম। মহারাজপুর উপজেলার আমবাগানের মালিক সোহাগ মিয়া জানান, বাগানে এবার মুকুল ভালোই এসেছে, গুটিও এসেছে।

এখন এই গুটির কতটি টিকে শেষ পর্যন্ত, তার ওপরই নির্ভর করবে আমের উৎপাদন।

এখন একটা বৃষ্টির খুবই দরকার, বৃষ্টি হলে আমের গুটি ঝরে পড়বে না, বোঁটা শক্ত হবে। আর বড়ও হবে দ্রুত।

সদরের বাগানমালিক আব্দুল হামিদ জানান, খরার কারণে বেশ কয়েকবার বাগানে সেচ দিয়েছেন। তারপরও খুব বেশি কাজে আসেনি। গুটি ঝরে পড়েছে। আসলে আকাশের পানি না হলে সেচ দিয়ে কত পারা যায়। পানি হলেই আমের গুটি দ্রুত বড় হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জমির উদ্দীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাছে গাছে ফ্রুট সেটের প্রক্রিয়া অর্থাৎ গুটি আসার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। অনেক গাছে ছোট ছোট আমও দৃশ্যমান।

‘খরা চলছে। এই খরা যদি আরও দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে আমের ক্ষতি হবে। সম্ভাব্য এই ক্ষতি ঠেকাতে সেচ দেয়ার বিকল্প নাই। যাদের সেচ দেয়ার সুযোগ নেই, তারা যদি গাছে সাদা স্প্রে করে, তাতেও কিছুটা সুফল মিলবে।’

এ বিভাগের আরো খবর