মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ফসলের মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি তুলে ধরা ময়মনসিংহের কৃষক আবদুল কাদিরের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সরকারপ্রধান কথা বলেন গিনেস বুক অব রেকর্ডে ওঠা বগুড়ার শেরপুরে শস্যক্ষেতে বঙ্গবন্ধুর চিত্র নিয়েও।
এ কৃতিত্বের জন্য কৃষি ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশংসা করার সময় ময়মনসিংহের কৃষক আবদুল কাদিরকে ‘বিশেষ’ ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
‘বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই সেই কৃষককে, যিনি প্রথম শস্যক্ষেতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি ও আমাদের স্মৃতিসৌধ তৈরি করে পথ দেখিয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি তারই কৃতিত্ব। কারণ তিনি আমাদের পথ দেখিয়েছেন।’
- আরও পড়ুন: কৃষক কাদিরের বঙ্গবন্ধু
গত বছরের শেষ দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কৃষক কাদির তার জমিতে লাল শাক ও সরিষা গাছ বুনে দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। সেটি ঘিরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা এবং জাতীয় ফুল শাপলার আদলও তৈরি করেন তিনি।
ফসলের জমিতে কৃষক কাদিরের চিত্রকর্ম। ছবি: নিউজবাংলাবঙ্গবন্ধু ও দেশের প্রতি কাদিরের এই ভালোবাসা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রচারিত হয় তার এই শিল্পকর্ম।
তিনি জানান, মুজিববর্ষে বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতি সবার শ্রদ্ধা ছড়িয়ে দিতে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করেছেন। এতে ফসলের দিক থেকে আর্থিক লাভ না হলেও মানসিক তৃপ্তি পেয়েছেন। পরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকের জন্য মনোনীত হন কাদির।
কৃষক কাদিরের দেখানো পথে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ১০০ বিঘা জমিতে দুই জাতের ধানের চারা রোপণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়, যা গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।
- আরও পড়ুন: গিনেস বুকে বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্র
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গঠিত জাতীয় পরিষদের উদ্যোগে এবং ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার নামে একটি প্রাইভেট কোম্পানির অর্থায়নে প্রতিকৃতিটি তৈরি করা হয়।
বগুড়ার শেরপুরে ধানক্ষেতে ফুটিয়ে তোলা বঙ্গবন্ধুর এই প্রতিকৃতি জায়গা করে নিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। ছবি: নিউজবাংলাএই অর্জন ময়মনসিংহের কৃষক আব্দুল কাদিরের চিন্তার ফসল বলেই উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা সত্যিই সেই কৃষকের জন্য গর্বিত। একজন সাধারণ কৃষক তার যে চিন্তা, জাতির পিতার জন্য তার যে ভালোবাসা। আমাদের স্বাধীনতার জন্য তার যে আন্তরিকতা এই তো বাংলাদেশ।
‘এই তো বাংলাদেশের মানুষ, যার জন্য জাতির পিতা তার নিজের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করেছেন। তার ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে।’