নিম্নমানের খাবারে অন্তত ছয়টি কারখানায় কয়েক শ মুরগি মারা গেছে। খামারিরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে কারখানাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন খাবার তৈরি করবে না শর্তও দেয়া হয়েছে।
মাগুরা শহরের ভায়না এলাকায় স্থানীয় আরাফাত পোল্ট্রি ফিড কারখানায় সোমবার দুপুর ১টার দিকে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান।
পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আরাফাত পোল্ট্রি ফিড কারখানা থেকে মুরগির খাবার নিয়ে অন্তত ছয়টি কারখানার কয়েক শ মুরগি মারা গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা।
প্রশাসন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে অভিযোগ করছিল কারখানাটিতে নিম্নমানের ফিড তৈরি হচ্ছে। যাতে ছয়টি কারখানায় তিন মাসে ৫ লাখের বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সনেট হোসেন নামের এক খামারি বলেন, ‘আরাফাত ফিড লোকাল কারখানায় মুরগির খাবার তৈরি করত। প্রথমে আমরা বুঝিনি। বাকিতে খাদ্য দিচ্ছিল বলে আমরা ব্যবসা শুরু করি। কিন্তু এতে আমার খামারের অন্তত সাড়ে তিন শ মুরগি মারা গেছে। এভাবে অন্য খামারেও কয়েক শ করে মুরগি মারা গেছে।’
আরাফাত পোল্ট্রি ফিড কারখানার ম্যানেজার ফরিদ মুন্সি বলেন, ‘আমরা সঠিক উপায় মেনেই খাদ্য তৈরি করছিলাম। কিন্তু কিছু খাবারে সমস্যা ছিল। আমরা সেগুলো পরিবর্তনের চেষ্টা করছি।’
তিনি জানান তাদের কারখানায় ৬০ জনের বেশি যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। জরিমানা মেনে নিয়ে তারা সংশোধনের সময় চেয়েছে।
ইউএনও আবু সুফিয়ান জানান, খামারিদের অভিযোগ পাওয়ার পর ভায়ানা এলাকার মদিনা কোম্পানির আরাফাত পোল্ট্রি ফিড কারখানায় অভিযান চালান তারা। ফিড তৈরিতে নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার ও প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ লেখা না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
যেহেতু কারখানাটি অনেক যুবকের কর্মসংস্থান করেছে, তাই ভবিষ্যতে খাবার তৈরির সময় এমন অভিযোগ যাতে না পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।