তেতো বলে অনেকেই উচ্ছে খেতে পছন্দ করেন না। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে ঠিক এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়। তাদের পছন্দের তালিকার উপরেই আছে উচ্ছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার দুই গ্রামে গেলে এখন মাঠজুড়ে শুধু তেতো উচ্ছেই চোখে পড়বে। সিলনা ও গুয়াধানা গ্রামের প্রায় প্রতিটি চাষিই জমিতে উচ্ছে চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ব্যাপক।
এই দুই গ্রাম এখন অনেকের কাছেই পরিচিতি পেয়েছে উচ্ছে গ্রাম হিসেবে। ভোর হলেই দেখা যায় গ্রামের নারী-পুরুষ সবাই মিলে গাছ থেকে উচ্ছে তুলছেন।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় নিউজবাংলাকে জানান, জেলায় এ বছর ৪০০ হেক্টর জমিতে উচ্ছে চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সিলনা ও গুয়াধানা গ্রামেই হয়েছে বেশি।
সিলনা গ্রামের কৃষক দেবাশীষ অধিকারী জানান, তাদের এলাকা তুলনামূলক উঁচু হওয়ায় বর্ষায় পানি কম ওঠে। তাই আগেই তারা উচ্ছের চাষ শুরু করতে পারেন।
আরেক কৃষক পলাশ অধিকারী জানান, এবারে উচ্ছের কোনো রোগবালাই না হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘাতে ফলন হয়েছে প্রায় ৮ থেকে ১০ মণ। দামও তুলনামূলক ভালো। প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।
উচ্ছে কেনাবেচায় সিলনা গ্রামে অস্থায়ী বাজারও গড়ে উঠেছে।
গুয়াধানা গ্রামের অঞ্জু মজুমদার নিউজবাংলাকে জানান, তাদের এলাকার কৃষকরা ধানের চেয়ে সবজির চাষ বেশি করেন। কারণ সবজিতে বিশেষ করে উচ্ছেতে লাভ বেশি।
পাইকারি ব্যবসায়ী হরিপদ রায় জানান, তারা সিলনা-গুয়াধানা এলাকার জমি ও আড়ত থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে উচ্ছে কিনে জেলার বাইরে বিভিন্ন হাটে-বাজারে বিক্রি করেন। বিভিন্ন জেলায় এখানকার উচ্ছের ভালো চাহিদা থাকায় তারা বেশ লাভবান হচ্ছেন।