কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হাবিব ছড়া এলাকার কৃষক মো. নুর চলতি শীত মৌসুমে ৯০ শতক জমিতে আগাম তরমুজের আবাদ করেছেন। বাম্পার ফলন হওয়ায় এখন লাখ টাকা মুনাফার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন তার ক্ষেতে।
মো. নুর নিউজবাংলাকে জানান, গত বছর তরমুজ চাষ করে লোকসান গুনেছেন। এবার লাভের মুখ দেখছেন তিনি। এ বছর ঠিক সময়ে পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এবার তিনি ৯০ শতক জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তার ক্ষেত থেকে আড়াই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে আরও প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো তরমুজ বিক্রির আশা করছেন তিনি।
মো. নুর ছাড়া আরও অনেক চাষি এবার হাবিব ছড়ায় তরমুজের আবাদ করেছেন। এই এলাকার আরেক তরমুজ চাষি আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, এবার তরমুজের ফলন অনেক ভালো। তরমুজের বাজারে করোনার কোনো প্রভাব নাই। আমরা মোটামুটি দাম ভালো পাচ্ছি।
তিনি জানান, এ বছর তিনি ৫০ শতক জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তার ক্ষেত থেকে ১ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে। সামনের মাসে আরও প্রায় ৬০ হাজার টাকার মতো তরমুজ বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, তার ক্ষেতের কিছু তরমুজ টেকনাফের স্থানীয় বাজারে এবং কিছু তরমুজ ক্ষেত থেকেই বিক্রি হয়েছে।
টেকনাফের আগাম তরমুজের ফলন নিয়ে সন্তুষ্ট টেকনাফ কৃষি বিভাগও। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, ‘আমি টেকনাফের বিভিন্ন জনের তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। এ উপজেলায় এবার প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো।
‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কারিগরি সহযোগিতা পাওয়ায় এবং সার ও কীটনাশক সহজলভ্য হওয়ার উৎপাদন ভালো হয়েছে। আগাম তরমুজ চাষ করে দাম বেশি পাওয়ায় টেকনাফের কৃষকরা আনন্দিত।’