বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার হবে দেশি হোয়াইট টির চুমুক

  •    
  • ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৫:৪১

হবিগঞ্জের বৃন্দাবন চা বাগানে উৎপাদন হচ্ছে হোয়াইট টি। প্রথমবার শ্রীমঙ্গলে নিলামে বিক্রি হয়েছে ১০ কেজি পাতা।

চায়ের স্বাভাবিক রং লালচে।

হাল আমলে জনপ্রিয় হয়ে উঠা গ্রিন টির রং অবশ্য কিছুটা হলদেটে।

হবিগঞ্জে ইদানীং পরিচিতি পাচ্ছে ভিন্ন এক ধরনের চা, যেটির রং সাদাটে। এটি পরিচিতি পাচ্ছে হোয়াইট টি নামে।

পশ্চিমা দুনিয়া এমনকি ভারতেও এরই চায়ের কদর আছে। বাংলাদেশে আমদানি করে আনা হতো স্বল্প পরিসরে। তবে এখন নিজস্ব বাগান থেকেই হোয়াইট চায়ের জোগান পাবে দেশের মানুষ।

চা গাছ থেকে বিশেষ ধরনের পাতা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে হোয়াইট টি বাজারে এনেছে হবিগঞ্জের বৃন্দাবন চা বাগান। বিশেষ উপায়ে পাতা তোলা ও প্রক্রিয়াজাত করা হয় বলে এর দাম বেশি জানাচ্ছেন উৎপাদকরা।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চায়ের ১৭তম নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে এই চা-পাতা। নিলামের আয়োজক টি ব্রোকার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল মিয়া জানান, এই হোয়াইট টি-এর প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে পাঁচ হাজার ১০ টাকায়।

বৃন্দাবন চা বাগানে হোয়াইট টি তৈরির জন্য তোলা হয় এই পাতাগুলো। ছবি: নিউজবাংলা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বৃন্দাবন চা বাগানের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন খান দাবি করেন, তারাই প্রথম দেশীয় হোয়াইট টি বাজারে এনেছেন। হাতে প্রক্রিয়াজাত করায় এই পাতার চায়ের গুণগত মান বিদেশি যে কোনো হোয়াইট টি এর চেয়ে উন্নত।

তিনি বলেন, হোয়াইট টি তার দীর্ঘ গবেষণার ফসল। কোনো যন্ত্রের সহযোগিতা ছাড়াই হাতে বিশেষভাবে তৈরি করেছেন এই চা-পাতা।

বৃন্দাবন চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক সাজিদুর রহমান জানান, হোয়াইট টি তৈরিতে বেশ শ্রম দিতে হয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষকে। এই পাতা তুলতে আলাদা শ্রমিক নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই শ্রমিকদের মজুরিও দেয়া হয়েছে দ্বিগুণ।

হোয়াইট টি এর বিশেষত্ব

নাসির উদ্দিন বলেন, চা–গাছের কুঁড়ি থেকে এটি তৈরি করা হয়। আর এই কুঁড়ি তুলতে হয় বিশেষ প্রক্রিয়ায়। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর ও এর ক্যাফেইনের মাত্রা কম হওয়ায় অন্যান্য চায়ের চেয়ে এটি বেশি স্বাস্থ্যকর।

হোয়াইট টি বানাচ্ছেন বৃন্দাবন চা বাগানের ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন খান। ছবি: নিউজবাংলা

‘এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে ১০ কেজি হোয়াইট টি তৈরি করেছিলাম। আমার পরিকল্পনা আছে আগামী বছর ব্যাপক পরিসরে উৎপাদন করার।’

জেলার চা গবেষক মাহমুদ হাসান প্রিন্স বলেন, ‘এর আগে বাংলাদেশে হোয়াইট টি উৎপাদন হয়নি। বৃন্দাবন চা বাগান এই প্রথম হোয়াইট টি উৎপাদন করেছেন, যা সত্যি প্রশংসনীয়। আমি তাদের তৈরি হোয়াইট টির স্বাদ নিয়েছি, এর মান অত্যন্ত ভালো।’

এ বিভাগের আরো খবর