বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শীত-কম মজুরি: ধানক্ষেত ছেড়ে ভাটায় শ্রমিকরা

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:৪৫

ইটভাটায় কাজ করা মো. কালাম বলেন, ‘আমি আগে যখন মাঠে কাজ করতাম তখন প্রতিদিন আড়াইশ টেকা থেকে ৩০০ টেকা কামাই করছি। আজ চার মাস ইটভাটা চালু হওয়ায় ভাটায় গড়নদারের কাজ করি। কোনো দিন ৭০০ টেকা, কোনো দিন ৮০০ টেকা কামাই করি।’

তিন দিন ধরে মেহেরপুরে তাপমাত্রা থাকছে ৭ ডিগ্রির নিচে। শীতের প্রভাব পড়েছে চাষাবাদেও। কনকনে শীতে কাদা পানিতে নামতে চাইছেন না অনেক শ্রমিক।

কেউ কেউ আবার বলছেন, শীতে কাজ করে যে মজুরি পাওয়া যায়, তা বেশ কম। সে তুলনায় ইটভাটায় মজুরি বেশি। তা ছাড়া ভাটায় ঠান্ডা পানিতে নেমেও কাজ করতে হয় না। এ কারণে ভাটার কাজে যাচ্ছেন তারা।

এমন বাস্তবতায় শ্রমিক সংকটে ভুগছেন জেলার বোরো ধানচাষিরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোর ছয়টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কৃষিজমিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করা জামাল উদ্দীন নিউজবাংলাকে জানান, শীত হলেও তাদের কাজ করতে হবে। ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই।

রহিম উদ্দিন নামের চাষি জানান, কয়েক দিন ধরে অধিকাংশ সময় মাঠ কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। শীতে মাঠে নামলে অসুখ হওয়ার ভয় আছে। তাই তারা তেমন মাঠে নামতে চাচ্ছেন না। এদিকে ঠিকমতো পরিচর্যা না করলে ধানের ক্ষতি হবে।

শীতের সকালে বোরো ধানচাষের কাজে মাঠে যাচ্ছেন কৃষকরা। ছবি: নিউজবাংলা

সেচের কাজে ব্যস্ত শ্রমিক আবদুল কাদের বলেন, ‘এই শীতের মধ্যে কাদা পানিতে নামতে কষ্ট হইছে। ঠান্ডাতে আসাও ঝামেলা। তা ছাড়া কাজ করে কখনো চার জনে ১৪০০ টাকা পাই, আবার কখনো পাঁচ জনে। এত কম টাকা, তাই মানুষ অন্য কাজে চলে যাচ্ছে।’

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা একেএম শাহাবুদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, এ সময় একটু শ্রমিক সংকট থাকে। কারণ জেলায় শতাধিক ইটভাটা আছে। সেখানে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে পায় শ্রমিকরা।

ইটভাটায় কাজ করা মো. কালাম বলেন, ‘আমি আগে যখন মাঠে কাজ করতাম তখন প্রতিদিন আড়াইশ টেকা থেকে ৩০০ টেকা কামাই করছি। আজ চার মাস ইটভাটা চালু হওয়ায় ভাটায় গড়নদারের কাজ করি। সকাল সাতটায় আসি বিকেল পাঁচটা যাই। কোনো দিন ৭০০ টেকা, কোনো দিন ৮০০ টেকা কামাই করি।

‘যত খাটব তত বেশি কামাই করব। এখনও দুই মাস ইটভাটা চলবে। বন্ধ হলে আবার মাঠের জোন (জন্য) খাটব।’

আরেক ইটভাটা শ্রমিক মুকুল বলেন, ‘ইটভাটায় সকাল সাতটায় যায়ে দুপুরে বাড়ি চলে আসি। প্রতিদিন সাড়ে ৪০০ টেকা হাজরি পাই। আবার বাড়িতে এসে গরু পুষি। তাতে খুব ভালো আছি।

‘আগে ধান আবাদের সময় মাঠে খাটতে জাইতাম। তাতে ৩০০ টেকা কইরি পাইতাম। কিন্তু পানির মধ‍্যে কাজ কইরলে হাতে পায়ে ঘা হয়ি যাইতোক। তাই ভাটায় ভালো আছি।’

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন জানান, কৃষি বিভাগ ধানের চারা রোপণের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করছে। এতে শ্রমিক সংকটে কৃষকের ভোগান্তি যেমন কমবে, তেমনি ফসল উৎপাদনের হারও বাড়বে।

এ বিভাগের আরো খবর