বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নামছে না হাওরের পানি, বীজতলা নিয়ে বিপত্তি

  •    
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:২১

কৃষকরা বুঝতে পারছেন না এ বছর আদৌ বোরোর আবাদ করতে পারবেন কিনা। দেরিতে আবাদ করতে পারলেও পরে বন্যার কবলে পড়ে ঘরে ফসল তুলতে না পাড়ার আশঙ্কা তাদের।

হবিগঞ্জের হাওরগুলোতে প্রতিবছর নভেম্বরে শুরু হয় বোরোর আবাদ। শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেতে কাজ করেন কৃষকরা। কিন্তু এ বছর দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। নভেম্বর শেষ হতে চললেও নামছে না হাওরের পানি। এ কারণে এখনও বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন, বিভিন্ন নদ-নদী খনন না করা এবং অপরিকল্পিতভাবে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কারণে হাওরের পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হচ্ছে।

কৃষকরা বুঝতে পারছেন না এ বছর আদৌ বোরোর আবাদ করতে পারবেন কিনা। দেরিতে আবাদ করতে পারলেও পরে বন্যার কবলে পড়ে ঘরে ফসল তুলতে না পাড়ার আশঙ্কা তাদের।

হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের বড় বড় হাওরের পানি এখনও আটকে আছে। বিশেষ করে কাকাইলছেও হাওর, দিরাই হাওর, সৌলড়ি হাওর, বদলপুর হাওর, শিবপাশা হাওর, বানিয়াচং উপজেলার হারুণী হাওর, মুরাদপুর হাওর, আফরার হাওরসহ বিভিন্ন হাওর পাড়ের কৃষরা সব চেয়ে বেশি বেকায়দায় আছেন। এ সব হাওরের অনেক কৃষক বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না।

কৃষকদের আশঙ্কা, সঠিক সময় বীজতলা তৈরি করতে না পারায় ফসল কাটার সময় ফিছিয়ে যাবে। এতে আগাম বন্যায় ফসলহানি হতে পারে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি বছর জেলায় হাইব্রিড ও স্থানীয় জাতের প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বীজতলা তৈরির সঠিক কোনো তথ্য তফতরে নেই।

বানিয়াচং উপজেলার আড়িয়ামুগুড় গ্রামের কৃষক সুনীল দাস নিউজবাংলাকে বলেন, অন্য বছর এমন সময় বীজতলায় বীজ বোনা হতো। কিন্তু এ বছর হাওরে পানি থই থই করছে। বীজতলা পানির নিচে পড়ে আছে।

এছাড়া হাওর থেকে পানি নামছে খুব ধীরে।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর হাওরের কৃষক নিরঞ্জন দাশ বলেন, বীজতলা কৈরি করতে না পারায় তিনি খুব দুঃশ্চিন্তায় আছেন। এমনিতেই প্রতি বছর আগাম বন্যায় হাওরের ধান তলিয়ে যায়। এ বছর বীজতলা তৈরিতে দেরি হলে সময় লাগছে, যে কারণে ফসল পাকতেও সময় লাগবে। ফসল ফললেও তা হয়তো ঘরে তুলতে পারবেন না।

লাখাই উপজেলার লাখাই গ্রামের কৃষক মঈনুল হাসান বলেন, ‘ঘরে বীজ কিইন্যা আনছি। কিন্তু পানি নামতাছে না। জালাপাট করতে পারতাছি না। বীজ নষ্ট অইয়া যাওয়ার পথে।’

তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘এখন প্রায় সব এলাকাতেই বীজতলা করার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ কথা ঠিক, হাওরের ভাটি এলাকাগুলোতে পানি জমে আছে, তাও দ্রুত নিষ্কাশন হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাওরের নদীগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এগুলো খনন করা হলে কৃষকদের অনেক উপহার হতো। একদিকে যেমন আগাম বন্যায় ফসলহানি হতো না, অন্যদিকে বোরো মৌসুমে সহজেই হাওরের পানি নামতে পারত।’

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) এমএলএস সৌকত বলেন, হাওরের নদীগুলো খননে উদ্যোগ অনেক আগেই নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নদী ও খাল খনন করা হয়েছে। এ বছরও পানি শুকালে খননকাজ শুরু হবে।

এ বিভাগের আরো খবর