বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ১২:০৭

এরই মধ্যে জেলার শতকরা তিন ভাগ জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলার নয়টি উপজেলায় কৃষকরা রোপা আমন ধান কাটা শুরু করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক ও কৃষানীরা। তাদের মুখে এখন চওড়া হাসিকৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে (২০২০-২০২১) জেলায় আমন ধান চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ৫০ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল । চাষ হয়েছে ৫০ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। ফলনও হয়েছে ভালো। সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর, উলচাপাড়া, নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বেহাইর, রাজঘর, ভাটপাড়া, তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম, পুতাই, সুহিলপুর ইউনিয়নের তেলিপাড়া, সূতার মুড়া, সুহিলপুর, মজলিশপুর ইউনিয়নের বাকাইল, বুধল ইউনিয়নের সূতিয়ারা, সুলতানপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালীসীমা গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, জমিতে কৃষকরা ধান কাটছেন। কেউ কেউ আবার জমির মধ্যেই ধান মাড়াই করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা যায় কৃষক ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।

জমির মধ্যেই ধান মাড়াই করছেন কৃষকরা

সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বেহাইর গ্রামের রিকশাচালক আলী আকবর বলেন, তিনি তার তিন কানি জমিতে (৩০ শতাংশে ১ কানি) পাজাম ও কালোজিরা ধানের আবাদ করেছেন। ফলনও হয়েছে ভালো। তবে ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় ধান বিক্রি করে লাভ কিছুটা কম হবে।

আলী আকবর বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ধান বেশি হয়েছে।সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম নোয়াপাড়ার কৃষক লাল মিয়া বলেন, এ বছর তিনি তার ২ বিঘা জমিতে ব্রিধান-৪৯ জাতের ধান চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে ধানের দামও ভালো। প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা দরে।একই কথা জানিয়েছেন একই এলাকার কৃষক রায়হান হোসেন। তিনি বলেন, এখনো ধান কাটা পুরোপুরি শুরু হয়নি। তিনি বলেন, সপ্তাহখানেক পরে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। তিনি জানান, তিনি তার ৪ বিঘা জমিতে ব্রিধান-৮৭ জাতের ধান করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ১৪/১৫ মণ ধান পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই এক বিঘা জমির ধান কেটে ৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে দিয়েছেন।

সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের কৃষক কবির মিয়া জানান, তিনি তার ২ কানি জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। এখনো জমির ধান পাকেনি। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে।এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মো. রবিউল হক মজুমদার বলেন, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কৃষকরা বিআর-২২,২৩, ব্রিধান-৪৯, ব্রিধান-৮৭, বিনা-৭, হাইব্রিড ধান ও স্থানীয় পাজাম, কালোজিরাসহ বিভিন্ন ধরনের ধানের চাষ করেছেন। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। মাঠের অবস্থা খুবই ভালো।

তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। জেলার শতকরা তিন ভাগ জমিতে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ পর পুরোপুরি ধান কাটা শুরু হবে।

তিনি বলেন, চলতি বছর জেলায় ৫০ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। চাষ হয়েছে ৫০ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। জেলায় মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১.৪২.৮৭৬ মেট্টিক টন ধান। সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

এ বিভাগের আরো খবর