দেশের জলবায়ু গম চাষের উপযোগী না হওয়ায় উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
শুক্রবার রাতে আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় কৃষিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ফলে দেশে গমের চাহিদা বাড়লেও উৎপাদন খুবই কম। দেশের জলবায়ু অনুকূল না হওয়ায় গম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব নয়।
তবে জলবায়ু উপযোগী উন্নত ও উৎপাদনশীল জাত আনতে পারলে উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। চাহিদার পুরোটা না হলেও অন্তত অর্ধেক উৎপাদন সম্ভব বলে জানান তিনি।
উন্নত জাতের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে ভুট্টার উৎপাদন এক কোটি টনে উন্নীত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে মৎস্য ও প্রাণী খাদ্য হিসেবে ভুট্টা ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এ জন্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভুট্টার উৎপাদন বছরে এক কোটি টনে উন্নীত করতে কাজ চলছে। এটি করতে পারলে শুধু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয়, রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও সম্ভব।
সিমিটের মহাপরিচালক মার্টিন ক্রোফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিসচিব মেসবাহুল ইসলাম।
বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. এছরাইল হোসেন, সিমিটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি টিমোথি জে. করুপনিক প্রমুখ।