চলতি রোপা আমন মৌসুমে শেরপুর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ১৯৫ হেক্টর বেশি জমিতে শস্যটির আবাদ করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। শুরু হয়ে গেছে সোনালি ধান কাটা। কৃষকের মুখে তাই ফুটেছে হাসি।
ঝিনাইগাতীর বন্দভট পাড়ার কৃষক আব্দুল হাই নিউজবাংলাকে বলেন, তিনি পায়জাম ধানের আবাদ করেছিলেন। ধান পেকেছে, কাটা শুরুও করেছেন। তার ক্ষেতে অনেক ধান হয়েছে। বাজারে নতুন ধানের দামও বেশ। তাই তিনি খুশি।
একই এলাকার কৃষক আশরাফুল বলেন, তিনি দানিগুল ধানের চাষ করেছেন। এ ধান আগাম পাকে। তার পরিবারের লোকজন ধান কাটা ও শুকানোর কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ জেলায় তিন দফা বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ২৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ফসল। ২০ হাজার ৫৫০টি কৃষক পরিবার এ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। কৃষকেরা তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মনোযোগ দেন আমন চাষে।
জেলায় ৯২ হাজার ৪৯৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। ৯১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল।
এবার পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক খেতে ধান পেকে সোনার বরণ ধারণ করেছে। সোমবার পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মুহিত কুমার দেব জানান, এবার জেলায় আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। এ জেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় ধানের খেতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হয়নি।
তিনি আশা করেন, এবার আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।