দুই মাস বন্যার পানি আটকে থাকায় ঢাকার ধামরাইয়ে নষ্ট হয়েছে পাঁচ শতাধিক হেক্টর জমির লেবু। করোনা মহামারির মধ্যে এমন ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন লেবুচাষিরা। ঘুরে দাঁড়াতে তারা এখন সরকারি সাহায্যের অপেক্ষা করছেন।
বালিয়া ইউনিয়নের শাসন এলাকার চাষি মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, এ বছর আড়াই হাজার শতাংশ জমিতে তিনি লেবু চাষ করেন। ফলন ভালো হলেও বন্যায় অর্ধেক লেবু বাগান তলিয়ে গেছে। গাছ মরে লেবু মাটিতে পড়ে পচে গেছে।ইউসুফের দাবি, তার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নয়াচর গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, বন্যায় তার এক হাজার ৩০০ শতাংশের লেবু বাগান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এই বাগান থেকেই তিনি গত বছর ১০-১২ লাখ টাকার লেবু বিক্রি করেছিলেন। এবার সব শেষ; তিনি সর্বস্বান্ত।
একই গ্রামের লেবুচাষি শরিফুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাগানে আবার নতুন করে চারা রোপন করলেও ফলন আসতে অন্তত দুই-তিন বছর লেগে যায়। এতে তারা আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়বেন।ঘুরে দাঁড়াতে তিনি সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান জানান, ধামরাইয়ের আট ইউনিয়নে এবার ৭০০ থেকে ৮০০ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের সুগন্ধি এলাচি লেবুর চাষ হয়। বন্যায় ৫১০ হেক্টর জমির লেবু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে ২০০ হেক্টর জমির লেবু।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সরকারি প্রণোদনা পেতে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরিফুল আরও জানান, বন্যার পানি নেমে গেলে বাগানের গাছ বাঁচিয়ে রাখতে চাষিদের নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। পানি সরলেই মরা ডালপালা কেটে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে সার।