বিক্রির ভরা মৌসুম। কিন্তু দুশ্চিন্তা নিয়ে অপেক্ষায় চাষি। কারণ, তার ফসল পানির নিচে।
করোনার কারণে আখ কিনতে আসেননি পাইকাররা। লোকসান আর ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে গভীর সংকটে পড়েছেন গাজীপুরের আখ চাষিরা।
গাজীপুরে চলতি মৌসুমে আখ চাষ হয়েছে এক হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। করোনায় পাইকারি ক্রেতার সংকট এমনিতে। তার ওপর হানা দিয়েছে বন্যা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২ হেক্টর জমির ফসল।
ফলন নষ্ট হওয়ায় বাজারেও সরবরাহের ঘাটতি। তাই কৃষকের মতো সমস্যায় বেপারিরাও। বিক্রি না হলে আয় কম।
গাজীপুর সদরের কাউলতিয়া এলাকার কৃষকরা জানান, বন্যায় আখ গাছ ময়লা ও দূষিত পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ছত্রাক, কাণ্ড ও গোড়া পচা রোগে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসন অফিসের তথ্য অনুযায়ী কালীগঞ্জের জাঙ্গালিয়া, নাগরি, মাইজদি, ছোট কইয়র, বড় কইয়র, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, ও কাপাসিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে আখ চাষ বেশি হয়েছে।
কাউলতিয়ার আখচাষি মজিবর বলেন, ‘এইবার দুই বিঘা জমিত আখ লাগাইছিলাম। খরচ হইছে তিন লাখ টাকা। করোনায় বেচা বিক্রি নাই। এহন বন্যায় সব শেষ। আমার সব গেছে।’
গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. রেজাউল আলম জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর আখ চাষ বেড়েছে দ্বিগুণ। তবে চাষিরা ভালো নেই।
জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, তারা চাষিদের পাশে আছেন। সেপ্টেম্বরের শুরুতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই তারা বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ সহায়তা পাবে।