কাজুবাদাম, কফিসহ অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদে সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী রোববার ভার্চুয়ালি নীলফামারীর ‘জ্যাকপট কাজুবাদাম ইন্ডাষ্ট্রি’ প্রসেসিং ইউনিট-২ উদ্বোধনের সময় এই আশ্বাস দেন। এ সময় কৃষক ও শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তাদের কাজুবাদাম, কফিসহ অপ্রচলিত ফসলের বাণিজ্যিক চাষাবাদে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সরকারের সহযোগিতা প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কফি, কাজুবাদামসহ অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাতে কৃষক, উদ্যোক্তাসহ যারা এগিয়ে আসবেন তাদের উন্নত জাতের চারা সরবরাহ, উৎপাদনে পরামর্শ, কারিগরি, প্রযুক্তিসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কাজুবাদাম অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল। বাংলাদেশে কাজুবাদাম চাষ ও উৎপাদনের সম্ভাবনা অনেক। বিশেষ করে, পার্বত্য এলাকা ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে এর বাণিজ্যিক আবাদ করা সম্ভব। অন্যদিকে বিদেশে রপ্তানিরও রয়েছে প্রচুর সুযোগ। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব ফসলের চাহিদা খুব বেশি।’
অনুষ্ঠানে জানান হয়, ২০১৬ সালের জুনে উদ্যোক্তা ইবনুল আরিফুজ্জামান নীলফামারী জেলার স্টাফ কোয়ার্টার মোড়ে ‘জ্যাকপট কাসুনাট ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড’ নামে কাজু প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে তোলেন।
তার কাজের সঙ্গে ছিলেন সহউদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম, মোমিনুল ইসলাম ও জনি সাহা। ১৫ কর্মী নিয়ে শুরু হলেও এখন কারখানায় কাজ করছেন অর্ধশতাধিক কর্মী। এর মধ্যে ৪৯ জনই নারী।
কারখানাটির মাসিক উৎপাদন ৪০০০ কেজি। শুরুতে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করলেও এখন সুপারশপসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল মুঈদ, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক মেহেদী মাসুদ, জ্যাকপট কাজুবাদাম ইন্ড্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান প্রামাণিক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইবনুল আরিফুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।