ভারত থেকে নেমে আসা পানি আর ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ উপজেলার আমন ধানের ক্ষেত।
এ বছর বন্যার কারণে দেরি করে আমন চাষ শুরু করেও গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষকরা উদ্বিগ্ন।
তারা বলছেন, চার দফায় ভারী বর্ষণের কারণে আমন চাষ শুরু করতে দেরি হয়। পঞ্চমবারের মতো তিন-চার দিনের ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফের তলিয়েছে অনেক জমি। পানি দ্রুত না সরলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, জেলার ১১ উপজেলাতেই এবার আমনের চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৮১ হাজার ৩৮৭ হেক্টর।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষক মোল্লা নাজিম জানান, এক একর জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলেন তিনি। টানা বৃষ্টিতে পুরো জমির ফসলই ডুবে গেছে।
তিনি আরও জানান, কিছু ধান গাছ এরই মধ্যে পচে গেছে। ৩-৪ দিনের মধ্যে পানি না সরলে পুরো জমির ধানই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
হাওরপাড়ের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই দফা বন্যায় অনেক বীজতলা ডুবে যাওয়ার পরও আবার আমনের আবাদ করেন কৃষকরা। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে হাওরের পানি বেড়ে ডুবে যায় অনেক জমি।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সফর আলী বলেন, ‘এবার বন্যার কারণে আমন বিলম্বে চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা এখন আবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত কমে গেলে তেমন একটা ক্ষতি হবে না।’