সাধের লাউ হলো না কৃষক আতিয়ারের গাছে। চারাগাছ ছোট থেকে বড়ও হয়েছিল। কিন্তু গাছগুলো কারা যেন কেটে দিয়েছে।
লিজ নিয়ে চাষ করা ৫০ শতাংশ জমির আড়াইশ লাউ গাছ ফুল আসার আগেই কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের চাপালী গ্রামের ফসলের মাঠে গত সোমবার রাতে গাছগুলো কাটা হয়েছে। কিন্তু সেই মাঠে রাত ১২টা পর্যন্ত ছিলেন আতিয়ার। লকলকে লাউ ডগা দেখেই রাতে ফিরেছিলেন ঘরে।
মঙ্গলবার সকালে ক্ষেতে গিয়ে আতিয়ার দেখেন মাচার গাছগুলো নুঁইয়ে পড়েছে। প্রথমে ভেবেছিলেন রোদের কারণে এমনটা হয়েছে। কিন্তু পরেই দেখতে পান সব গাছের গোড়া থেকে কাটা রয়েছে।
কৃষক আতিয়ার জমি লিজ নিয়ে বছরজুড়েই নানান ধরনের ফসলের আবাদ করেন। আবাদের বেশিরভাগই সবজি। এ বছর এক বিঘায় বেগুন, দুই বিঘায় মুলা, কিছু অংশে ওল, হলুদ এবং ৫০ শতকে লাউয়ের চাষ করেন।
আতিয়ার আগস্টের শুরুতে ডায়না জাতের হাইব্রিড লাউয়ের বীজ বপণ করেছিলেন। অল্পদিনেই গাছ বড় হয়, ফল আসার উপযোগী হয়েছিল। আতিয়ার ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে তাতে মাচা দিয়েছেন।
ক্ষেতে সব মিলিয়ে আতিয়ারের খরচ হয়েছিল ৯০ হাজার টাকা। যার বেশির ভাগ তিনি ধার নিয়ে জোগাড় করেছিলেন।
আতিয়ার বলেন, ‘গত দেড় মাসে ক্ষেতটিতে রাত-দিন কাজ করেছি। প্রতিটি গাছেই আমার হাতের ছোঁয়া রয়েছে। গাছের সঙ্গে যারা শত্রুতা করে তারা কেমন মানুষ?’
‘আশা ছিল এ বছর ক্ষেত থেকে আড়াই লাখ টাকার লাউ বিক্রি করব। কিন্তু আমার সব শেষ হয়ে গেছে। কীভাবে আমার দেনা পরিশোধ করব’ বলেন তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিকদার মো. মোহাইমেন আক্তার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষেতটি দেখেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবর্ণা রানি সাহা বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সূত্র: ইউএনবি