কাবুল থেকে পালিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার সে দেশে আশরাফ ঘানি আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও তার পরিবারকে মানবিক কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত স্বাগত জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করছে।’
দেশত্যাগের সময় ঘানি তার সঙ্গে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার নিয়ে গেছেন বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে।
পৃথকভাবে তাজিকিস্তানে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেছেন, ঘানি দেশ ছাড়ার সময় ১৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার নিয়ে গেছেন।
ঘানির ফ্লাইটকে তিনি ‘দেশ ও জাতির জন্য চরম বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জহির আকবর বিষয়টি নিয়ে তাজিক রাজধানী দুশানবেতে একটি সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।
তিনি জানান, আশরাফ ঘানির উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে কাজ করা আমিরুল্লাহ সালেহ যে নিজেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছেন, তাকে মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার এক অডিও বার্তায় আমিরুল্লাহ নিজেকে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন।
২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পরই গত কয়েক মাস থেকে একের পর এক প্রাদেশিক শহর দখল করতে থাকে তালেবান। সবশেষ সেনা প্রত্যাহারের এক সপ্তাহের মধ্যেই আফগান সরকারকে পরাজিত করে কাবুল দখল করে তালেবান।
রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তালেবান দেশটির প্রেসিডেন্ট প্যালেস দখল করে।
যাওয়ার সময় তিনি চার গাড়ি করে টাকা নিয়ে গেছেন বলেও জানা গেছে।
এক ফেসবুক পোস্টে ঘানি সেদিনই জানান, রক্তপাত এড়ানোর কৌশল হিসেবে তিনি দেশত্যাগ করছেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছিল, প্রথমে প্রতিবেশী তাজিকিস্তানে গেলেও সেখানে আশ্রয় না পেয়ে তিনি ওমানে আশ্রয় নেন। তবে ওমান কিংবা অন্য কোনো সংবাদমাধ্যম সে তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
অবশেষে তার আরব আমিরাতে আশ্রয়ের বিষয় নিজেরাই স্বীকার করল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।