আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিকদের সরাতে ফ্লাইট চালাতে ৩১ আগস্টের পরও যুক্তরাষ্ট্রের সেনা রাখতে জো বাইডেনকে অনুরোধ জানাবেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের এক জরুরি মিটিংয়ে মঙ্গলবার এই অনুরোধ জানাবেন তিনি।
আফগানিস্তানে নতুন করে তালেবান শাসন ক্ষমতা দখলের পর হাজার হাজার মানুষ দেশ ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করছে।
চলতি মাসের শেষেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবে।
অবশ্য দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সেনা প্রত্যাহারের সময় বাড়াতে তারা আলোচনা করবেন।
তবে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের আশা এমনটি নাও করতে হতে পারে।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিজেদের পরিসর আরও বাড়িয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে লোক সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে। সেনাদের তালেবানও সহযোগিতা করছে।
যুক্তরাজ্যের সরকারি কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এখনও বলতে পারছে না কবে নাগাদ তারা সবাইকে সরিয়ে নিতে পারবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ছাড়া ওই এলাকা নিরাপদ রাখা সম্ভব নয়।
কাবুল থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যুক্তরাজ্য সেখানে এক হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে।
বর্তমানে জি-সেভেন দেশগুলোর চেয়ারপারসন হিসেবে কাজ করছে যুক্তরাজ্য।
আফগানিস্তানের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তালেবান গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর থেকেই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ। তাদের সঙ্গে যেকোনোভাবে বিমানে উঠতে মরিয়া হাজারো আফগান পরিবার।