আফগানিস্তানের অন্যতম প্রধান শহর জালালাবাদে তালেবানের পতাকা নামিয়ে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে বিক্ষুব্ধরা। এ সময় গুলিতে দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আজ-জাজিরার খবরে বলা হয়, স্থানীয়দের মোটামুটি একটা বড় অংশ তালেবানের পতাকা নামিয়ে সেখানে আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা টানিয়ে দেয়।
সংস্থাটির কাবুলের প্রতিনিধি রব ম্যাকব্রেইড বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে শ-খানেক লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছেন।
‘আমরা জানি, জালালাবাদ শহরের একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা আবার পতাকা উড়িয়েছে। সেখানে তালেবানের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়েছে।’
কেনো স্থানীয়রা তালেবানের পতাকা সরিয়ে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে সে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
তবে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার শহরটিতে স্থানীয়রা তালেবানের পতাকার পরিবর্তে আগের জাতীয় পতাকার দাবিতে মিছিল শুরু করে। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে তালেবানরা গুলি ছুড়ে। সেখানেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নাঙ্গাহার প্রদেশের শহরটি গত রোববার কোনো ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই দখল করে নেয় তালেবান যোদ্ধারা। রোববার প্রদেশের গভর্নর সরকারি সেনাদের নিয়ে কোনো ধরনের রক্তপাত ছাড়াই তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
দখলের পর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিজেদের পতাকাও ওড়ায় তালেবান। সেখানেই বুধবার প্রতিরোধে নামে স্থানীয় বাসিন্দারা।
পাকিস্তানের সঙ্গে শহরটি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ রক্ষা করা হয় বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।
অবশ্য সংঘর্ষ ও নিহতের বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কেউ কিছু জানায়নি।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘ভবিষ্যতের জাতীয় পতাকা নিয়ে আলোচনা চলছে। সেটা নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।’
দুই দশক পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণার পর গত রোববার কাবুল দখল করে তালেবান।
এর মাধ্যমে দেশটির শাসনভারও নেয় তালেবান। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সেদিনই পালিয়ে যান।