আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই সশস্ত্র ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
তিনি বলেন, ‘হাজারো মানুষ কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করলেও তারা শান্তিপূর্ণভাবেই অবস্থান করছেন।
‘এদের মধ্যে দুই জনের কাছে অস্ত্র ছিল। অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখাচ্ছিল তারা। এমন পরিস্থিতিতে দুই জনকেই হত্যা করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।’
নিহতরা তালেবান সদস্য কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক এ মাইলি কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করার পরপরই এ ঘটনা ঘটে। বৈঠকে দেশ ছাড়তে চাওয়া আফগানদের ওপর হামলা করা থেকে তালেবানকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মাইলি।
এর আগে রোববার ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাককেঞ্জি দোহায় তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেন। সেখানে তিনিও কাবুলের বিমানবন্দরে হামলা না চালাতে তালেবানকে অনুরোধ করেন।
কাবুলের উপকণ্ঠে অবস্থিত আফগানিস্তানের প্রধান বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ হাজার সেনা। আমেরিকান নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবে তারা।
এ অবস্থায় বাণিজ্যিক বিমানে করে দেশ ছাড়তে বিমানবন্দর এলাকায় ছুটে যান কয়েক হাজার মানুষ। রানওয়েতে তাদের ছুটোছুটি, হুড়োহুড়ি করে বিমানে ওঠার নজিরবিহীন দৃশ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
হুড়োহুড়ির মধ্যে প্রাণ গেছে কমপক্ষে পাঁচজনের। ধারণা করা হচ্ছে, ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে কিংবা বিমান উড্ডয়নের পর নিচে পড়ে মারা গেছেন তারা।