আফগানিস্তানে মানুষের চাওয়ার সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশটির পরিস্থিতির ওপর সতর্ক নজর রাখবে বাংলাদেশ।
এ জন্য স্থায়ী সরকারের অপেক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। যদিও ভ্রাতৃপ্রতিম ওই রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। আমরা চাই আফগানিস্তানের জনগণের জানমালের ক্ষতি না হোক।’
সেখানে সক্রিয় সমস্ত রাজনৈতিক শক্তির প্রতি এটাই বাংলাদেশের আহ্বান।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ভয়ের কিছু নেই। তবে আমরা সতর্ক আছি এখানে উগ্রপন্থার উত্থান ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে। আমরা এতে অত্যন্ত সফল হয়েছি, বিশেষ করে হলি আর্টিজানের ঘটনার পর।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তানের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কাতার মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কাবুলের সরকার ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট শপথ না নেয়া পর্যন্ত ঢাকা দেশটিকে স্বাগত জানাতে পারে না। স্থিতিশীল যেকোনো পক্ষের সঙ্গে কাজ করবে ঢাকা।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলব, এটা স্টিল প্রিম্যাচিউর। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন প্রেসিডেন্ট শপথ না নিচ্ছেন; যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের সংবিধান অনুযায়ী চার বা পাঁচ বছরের সরকারের ম্যান্ডেট নিয়ে না আসছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাতে পারি না। এটা ঠিকও হবে না।’
‘আফগানিস্তান থেকে তিন বাংলাদেশিকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আরও সাত বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান। এর চেয়ে বেশি তথ্য আমরা এখন প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।’