শত শত মানুষ হুড়োহুড়ি করে বিমানে উঠতে গিয়ে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবান নিয়ে নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি ছাড়তে সোমবার সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হন।
ওই সময় হুড়োহুড়ি করে বিমানে ঢুকতে যাওয়ায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানান, পাঁচজনের মরদেহ গাড়িতে করে নিয়ে যেতে দেখেন তিনি।
ফ্লাইটের জন্য ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করা এক যাত্রী জানান, বন্দুকের গুলি নাকি পদদলিত হয়ে ওই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানান, দেশের কূটনীতিক ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত সামরিক বিমানে লোকজন ওঠার চেষ্টা করলে ফাঁকা গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় সেনারা।
ওই ঘটনায় কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রোববার কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে তালেবান।
এরপরই দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দেশে ফেরাতে তৎপর হয় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারি বাহিনীকে পরাজিত করার পর তালেবান কর্মকর্তারা চলমান যুদ্ধের ইতি টানেন।
এর পরপরই কাবুলজুড়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
রক্তপাত এড়ানোর দোহাই দিয়ে রোববার সন্ধ্যায় দেশত্যাগ করেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
তালেবানের মুখপাত্র সুহেইল শাহীন টুইটবার্তায় জানান, কারও ক্ষতি না করার কঠোর নির্দেশ যোদ্ধাদের দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কারোর জীবন, সম্পদ ও সম্মান ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। বরং মুজাহিদীনরাই এসব রক্ষা করবে।’