বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘানির দেশত্যাগ ‘লজ্জাজনক’

  •    
  • ১৬ আগস্ট, ২০২১ ০৯:৪৭

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রদেশের এক রাজনীতিক প্রেসিডেন্ট ঘানির হঠাৎ প্রস্থানকে ‘লজ্জাজনক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তার মতে, তালেবানের হামলার শেষের দিকে পুরোটা সময় জনগণকে মিথ্যা বলেছেন ঘানি।

জনগণকে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেশ ছেড়ে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির হঠাৎ চলে যাওয়াতে অনেকের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের দীর্ঘ ২০ বছর পর ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসছে তালেবান।

এমন পরিস্থিতিতে অনেক আফগানই দিশেহারা। এর ওপর জনগণকে কিছু না বলে ঘানির দেশত্যাগে স্বভাবতই ধোয়াশা তৈরি হয়েছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

তালেবান রোববার রাজধানী কাবুল ঘিরে ফেলে। এর একপর্যায়ে জানা যায়, মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে আফগানিস্তান ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট ঘানি।

দেশটির হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানিকে ‘সাবেক’ উল্লেখ করে ফেসবুকে বলেন, ‘আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়েছেন।

‘জনগণকে এমন পরিস্থিতিতে রেখে তিনি চলে গেছেন। আল্লাহ তার বিচার করবেন।’

৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া তালেবানের ব্যাপক আক্রমণের একপর্যায়ে রোববার আফগানিস্তানে পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট সরকারের পতন হয়।

রোববার সকালের মধ্যেই আফগানিস্তানের দুই ডজনের বেশি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করে তালেবান।

নানগারহর প্রদেশের শহর জালালাবাদসহ পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি প্রদেশ শেষ সময়ে নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রদেশের এক রাজনীতিক প্রেসিডেন্ট ঘানির হঠাৎ প্রস্থানকে ‘লজ্জাজনক’ হিসেবে অভিহিত করেন।

তালেবানের হামলার শেষের দিকে ‘পুরোটা সময় জনগণকে মিথ্যা বলা ও তাদের অন্ধকারে রাখার’ জন্য ঘানিকে দায়ী করেন ওই রাজনীতিক।

জাতির উদ্দেশে শনিবার ঘানির রেকর্ডকৃত ভাষণকে জনগণের সঙ্গে মিথ্যা বলার নজির হিসেবে হাজির করেন তিনি।

ওই ভাষণে ‘অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতা’ বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন আফগান প্রেসিডেন্ট।

এর কয়েক ঘণ্টা পরই আফগানিস্তানের দুটি বড় শহর মাজার-ই-শরিফ ও জালালাবাদ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

ঘানির তাজিকিস্তানে পলায়নের কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তরাঞ্চলীয় বালখ প্রদেশের শক্তিশালী সাবেক কমান্ডার আত্তা মোহাম্মদ নুর আফগান সরকারের বিরুদ্ধে ‘সুসংগঠিত ও কাপুরুষোচিত চক্রান্তের’ অভিযোগ আনেন।

আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক এক সদস্য জানান, দেশের উদ্ভূত অস্থির পরিস্থিতিতে ঘানির চলে যাওয়া ‘বোধগম্য’। তবে প্রেসিডেন্টের এত দ্রুত প্রস্থান তাকে হতাশ করেছে।

জাতির উদ্দেশে ভাষণের পর জনসমক্ষে ঘানির আর না আসাকে ‘দেশপ্রেমহীন ও দুঃখজনক’ হিসেবে মন্তব্য করেন ওই সদস্য।

তিনি বলেন, ‘অরাজকতার দিকে দেশকে ঠেলে দিয়েছেন ঘানি। মানুষকে তিনি বিভক্ত করেছেন।

‘বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার বীজ বপনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেন ঘানি।’

২০১৪ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনে আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানির জয়কে ঘিরে বরাবরই বিতর্ক ছিল।

আফগানিস্তানের এক নারী অধিকারকর্মী জানান, ঘানি বা তার পলায়ন নিয়ে এখন ভাবার কিছু নেই।

তিনি বলেন, ‘ঘানি চলে গেছেন। তবে ৩ কোটি ৮০ লাখ আফগান দেশেই রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর