দ্রুত সময়ে রাজধানী কাবুল দখল নেয়ার পর সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান বলেছে, সরকারের সঙ্গে তাদের যুদ্ধের অবসান হয়েছে।
তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের এক মুখপাত্র আল জাজিরাকে এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাইম সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘আফগানিস্তানের জনগণ ও মুজাহিদীনদের জন্য আজ বিশাল এক দিন। তারা ২০ বছরের প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগের ফল দেখতে পেয়েছে।
‘আল্লাহর রহমতে দেশে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে।’
তালেবান বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে চায় না মন্তব্য করে নাইম বলেন, তারা চায় শান্তিপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।
তার ভাষ্য, আফগানিস্তানে কী ধরনের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, তা দ্রুতই খোলাসা করা হবে।
‘আমরা দেশের মুক্তি ও জনগণের স্বাধীনতা চেয়েছিলাম। তা আমরা পেয়েছি’, বলেন নাইম।
‘আমরা চাই না আমাদের ভূমি ব্যবহার করে কেউ কাউকে লক্ষ্যবস্তু বানাক। একই সঙ্গে আমরা অন্যদেরও ক্ষতি করতে চাই না’, যোগ করেন তিনি।
আফগানিস্তানের দখল নিতে সরকারের সঙ্গে তালেবানের সবশেষ লড়াই পরিণতি পায় রোববার। ওই দিন চার দিক থেকে কাবুলকে ঘিরে ফেলে তালেবান যোদ্ধারা।
সশস্ত্র গোষ্ঠীটি শুরুতে কাবুলে ঢোকা শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি এড়ানোর কথা বলে কাবুলের প্রবেশপথে অবস্থান নেয়। পরে সে সিদ্ধান্ত পাল্টে লুটপাট ঠেকানোর কথা বলে তারা কাবুলে ঢুকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দখল নেয়।
দ্রুত সময়ে তালেবানের এ ক্ষমতা দখলের মধ্যেই দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে পালিয়ে যান আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
তিনি বলেছেন, রক্তপাত এড়াতেই ছেড়েছেন দেশ।
তালেবানের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাবুলের সড়কে সোমবার আতঙ্ক দেখা গেছে। তড়িঘড়ি করতে দেখা গেছে নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে চাওয়া পশ্চিমা দেশগুলোর কর্মকর্তাদের। অন্যদিকে দেশ ছাড়তে মরিয়া শত শত আফগানের ভিড় দেখা গেছে কাবুল বিমানবন্দরে।