বঙ্গবন্ধু হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ খুনির ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে পলাতক অবস্থায়, বিদেশের মাটিতে। দুজন অবস্থান করছেন কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু বাকি তিনজনের কোনো খোঁজ নেই বাংলাদেশ সরকারের কাছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একজন সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন বছর দুই আগে। তারপর তার আর কোনো খবর নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, পাঁচ খুনির একজন কানাডা ও একজন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন খুনি এ এম রাশেদ চৌধুরী ওরফে রাশেদ চৌধুরী। অন্যদিকে কানাডা সরকারের আশ্রয়ে আছেন খুনি এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ওরফে নূর চৌধুরী। এরা দুজনই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
অপর তিন খুনি সাবেক সেনা কর্মকর্তা খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেমউদ্দিন সম্পর্কে কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
তবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খুঁজে বের করার জন্য ১৯৯৬ সালে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্য অ্যাম্বাসেডর ওয়ালিউর রহমান বলেন, মেজর ডালিম ও খন্দকার আব্দুর রশীদ পাকিস্তানের পাসপোর্টধারী এবং কোটিপতি ব্যবসায়ী। মেজর ডালিম পাকিস্তান থেকে কেনিয়ায় নিয়মিত যাতায়াত করছেন। আর আব্দুর রশীদ লিবিয়ার বেনগাজিতে থাকেন। সেখানকার একজন বড় ব্যবসায়ী তিনি। পাকিস্তান ও লিবিয়ার বাইরে বেলজিয়ামেও তার যাতায়াত রয়েছে।
জাতি যখন স্বাধীনতার ৫০ বছর ও মুজিবশতবর্ষ পালন করছে, তখন এই পাঁচ আত্মস্বীকৃত খুনির তিনজনকে খুঁজে বের করা এবং তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে না পারা হতাশা ও লজ্জার বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার হয়েছে কেবল বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত চাওয়ায়। তা না হলে এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধের সব ব্যবস্থাই করা হয়েছিল।
‘দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের গ্রহণযোগ্য বিচার হয়েছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ এই বিচার-প্রক্রিয়া শুরু করে। বিচারের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে থাকে। অবশেষে বিচার হয়। সব ধাপ অতিক্রম করে আইনি পরিক্রমায় কিছু আসামির রায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে।
‘কিন্তু আমরা ১২ দণ্ডপ্রাপ্তের মধ্যে পাঁচজনের সাজা কার্যকর করতে পারিনি। এদের দুজনের সন্ধান আমরা জানি। তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশ্রয়দানকারী দুই দেশের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু অন্য তিনজনের বিষয়ে এখনও আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এটা আমাদের জন্য লজ্জাকর। যে দুজনের সন্ধান আমরা জানি, তাদের দেশে এনে আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি সেখানে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তাকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব। কিন্তু কানাডায় থাকা নূর চৌধুরীর বিষয়ে আপডেট তথ্য আমার কাছে নেই। কানাডায় আমাদের হাইকমিশনার হালনাগাদ তথ্য দিতে পারবেন।
‘আর বাকিরা লুকিয়ে আছেন। কোথায় আছেন, জীবিত না মৃত- কেউ তাদের তথ্য দিতে পারে না। এটা লজ্জার। এ দেশে তাদের আত্মীয়স্বজন আছে। অথচ কেউ তাদের তথ্য দেয় না। এটা অবিশ্বাস্য! আমরা পুরস্কার ঘোষণা করে তথ্য চেয়েছি। যদি কেউ খুনিদের সম্পর্কে কিছু জানেন, তবে আমাদের জানান।’
মোমেন বলেন, ‘রাশেদ চৌধুরীর বিষয়টি আমরা যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তারা বিষয়টি রিভিউ করছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাশেদের অবস্থান করার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে রিভিউ চলছে। রিভিউতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নতুন একজন অ্যাটর্নি নিয়োগ করেছে। আমরা আশাবাদী, রাশেদ চৌধুরীকে দেশে আনতে পারব।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, খুনিদের ফিরিয়ে আনতে একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। এতে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় সব এজেন্সির সঙ্গে কাজ করছে। এই টাস্কফোর্স বা এজেন্সিগুলোর কাছেও তিন খুনি সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
টাস্কফোর্সের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস’ নামে কানাডায় একটি আইন আছে। তাতে একটি ধারায় বলা আছে, যে দেশে মৃত্যুদণ্ড আছে, সে দেশে কোনো ব্যক্তিকে পাঠানো যাবে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো দেশের সরকার যখন গ্যারান্টি দিয়েছে যে, তাদের আবারও বিচারের সুযোগ দেয়া হবে, তখন কিছু অপরাধীকে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
ওই সদস্য আরও বলেন, ‘কানাডার ওই আইনে আরেকটি ধারা আছে, যাতে বলা হয়েছে, যে দেশে মৃত্যুদণ্ড আছে সে দেশেও এমন অপরাধীদের পাঠানো যাবে, যদি তাদের অপরাধ ব্যতিক্রমধর্মী হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব সময়ই নূর চৌধুরীর অপরাধকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উল্লেখ করে ফেরত চাওয়া হয়েছে।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে একদল বিপথগামী সেনা। ওই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে পদে পদে বাধা আসে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর দায়মুক্তি আইন বাতিল করে আওয়ামী লীগ সরকার। ওই বছরের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন।
নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের শুনানি শেষে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট দ্বিধাবিভক্ত রায় দেয়। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে তিনজনকে খালাস দেয়।
১২ আসামির মধ্যে প্রথমে চারজন ও পরে এক আসামি আপিল করে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও আপিল শুনানি না হওয়ায় বিচার-প্রক্রিয়া আটকে যায়। দীর্ঘ ছয় বছর পর সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আপিল বিভাগে একজন বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাটি ফের গতি পায়।
২০০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির লিভ টু আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে। আপিলের অনুমতির প্রায় দুই বছর পর ২০০৯ সালের অক্টোবরে শুনানি শুরু হয়। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পাঁচ আসামির আপিল খারিজ করে। ফলে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে হাইকোর্টের দেয়া ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে।
এরপর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আর ওই রায় কার্যকরের আগেই ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আরেক খুনি আজিজ পাশা।
গত বছরের ৭ এপ্রিল ভোরে মিরপুরের গাবতলী এলাকায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিস) ইউনিটের একটি দল আটক করে আরেক পলাতক আসামি খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) আবদুল মাজেদকে। সেদিন দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে। সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে পাঁচ দিন পর ১২ এপ্রিল প্রথম প্রহরে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত আরেক খুনি রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেম উদ্দিন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে গত বছরের ২২ এপ্রিল এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সম্প্রতি গ্রেপ্তার ও ফাঁসি কার্যকর হওয়া বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ দীর্ঘদিন কলকাতায় ছিলেন। তার ফাঁসি কার্যকরের আগে তার কাছ থেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান জেনে নেয়।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘ভারতের গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় রিসালদার মোসলেম উদ্দিনকে উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। তবে অন্য একটি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, মাজেদ আটক হওয়া মাত্রই নিজের মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে গা ঢাকা দিয়েছে মোসলেম উদ্দিন।’
আনন্দবাজার-এর ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘লকডাউনের সময় ভারত থেকে মোসলেম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ায় সমস্যা হতে পারে বলে ঢাকা বিষয়টি ভারতের গোয়েন্দাদের জানায়। ভারতীয় গোয়েন্দারা এই খুনিকে কার্যত তাড়িয়ে সীমান্তের কোনো একটি অরক্ষিত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তবে সরকারিভাবে কিছুই স্বীকার করা হয়নি। উত্তর চব্বিশ পরগনার একটি আধাশহরে ইউনানি চিকিৎসক সেজে ভাড়া ছিলেন মোসলেম উদ্দিন।’
তবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কখনোই আনন্দবাজারের এই সংবাদ স্বীকার করেনি। গত বছরের ১২ আগস্ট ইন্টারপোলের বাংলাদেশ শাখা অফিসের প্রধান (এনসিবি) ও পুলিশের সহকারী উপমহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণমাধ্যমেই আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেম উদ্দিনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জেনেছিলাম। এরপর আমরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভারতীয় এনসিবির কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু গত চার মাসেও আমরা ওই চিঠির কোনো জবাব পাইনি। গত ১২ এপ্রিল পলাতক সাবেক ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।’
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সে সময় আনন্দবাজারের প্রতিবেদন সম্পর্কে জেনেছিলাম। কিন্তু এর কোনো সত্যতা পাইনি।’
দুজন পাকিস্তানের পাসপোর্টধারী?
সরকারের কাছে তিন খুনির সন্ধান না থাকলেও সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব পালনকারী একটি টিমের সদস্য অ্যাম্বাসেডর ওয়ালিউর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, খোঁজহীন তিনজনের মধ্যে দুজনের সর্বশেষ খবর তার কাছে আছে। মেজর শরিফুল হক ডালিম ওরফে মেজর ডালিম ও লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশীদ পাকিস্তানের পাসপোর্টধারী এবং কোটিপতি ব্যবসায়ী।
ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘ডালিম পাকিস্তান থেকে কেনিয়ায় সব সময় যাতায়াত করছেন। কেনিয়ায় বিনিয়োগকারী বিদেশিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। সে দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা প্রভাবশালীরা বংশপরম্পরায় তাকে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।
‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইনডেমনিটি বিল বাতিলের পর আমরা কেনিয়ায় গিয়ে সে দেশের সকল পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করি এবং তাকে ফেরত চাই। তারা সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করে।’
তিনি বলেন, ‘খন্দকার আব্দুর রশীদও পাকিস্তানের পাসপোর্ট বহন করেন। তিনি মূলত লিবিয়ার বেনগাজিতে থাকেন। সেখানকার একজন বড় ব্যবসায়ী তিনি। পাকিস্তান ও লিবিয়ার বাইরে বেলজিয়ামেও তার যাতায়াত রয়েছে।’
খুনিদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি দেয়া প্রসঙ্গে ওয়ালিউর রহামন বলেন, ‘আমরা ছয়জন খুনিকে ফাঁসি দিতে পেরেছি। এটা একটি বড় সংখ্যা। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরো চারজনকে ক্ষমা করে দেন খালেদা জিয়া। তা না হলে ফাঁসি হতো ১০ জনের। বিশ্বের কোথাও এতদিন পর বিচার করে শতভাগ রায় বাস্তবায়ন করা যায়নি। তারপরও আমরা কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক দুজনকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশাবাদী।’