স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বঙ্গবন্ধুকে টুঙ্গিপাড়ায় সমাহিত করায় সেই সময়ে অবহেলিত স্থানটি আজ গোটা বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার উৎসে পরিণত হয়েছে।
রোববার রাজধানীর ধোলাইপাড়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার আয়োজনে এক স্মরণসভা ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘জাতির জনককে হত্যা করার পর খুনিরা ঢাকায় বঙ্গবন্ধুকে সমাহিত করতে সাহস পায়নি। সমাহিত করা হলো টুঙ্গিপাড়ায়। তখন সে জায়গাটি ছিল অবহেলিত। আজ সেই টুঙ্গিপাড়া প্রেরণার উৎস।’
এ সময় মন্ত্রী জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর চার খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর দুইজন খুনি এখন কোথায় আছেন তা আমরা চিহ্নিত করতে পারি নাই। বাকি দুইজন খুনির অবস্থান চিহ্নিত করা গেছে। কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।
রোববার রাজধানীর ধোলাইপাড়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক স্মরণসভা ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি বলেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে ৭০-এর নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অগ্রণী ভূমিকায় স্বাধীনতা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ডাকে গোটা বাঙালি জাতি এক হয়ে যায়। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পরও যখন পাকিস্তানিরা ক্ষমতা দেয়নি তখনই ফুঁসে ওঠে পুরো বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণেই সবকিছু পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে কী করতে হবে তার দিকনির্দেশনাও দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুসন্তান রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর বংশ নির্বংশ করতে চেয়েছিল খুনিরা। কিন্তু পারে নাই। তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ বিশ্বে রোল মডেল। মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে শেষ করলেই দেশ পাকিস্তানের দাসত্বে পরিণত হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশে ফেরার কারণে সব বুমেরাং হয়ে গেছে। বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে স্বগর্বে দাঁড়িয়েছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদসহ অনেকে।