বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর তিন পলাতক খুনির তথ্য দিলে পুরস্কার

  •    
  • ১৫ আগস্ট, ২০২১ ১৫:৪৯

‘এটি জাতির জন্য একটি শোকাবহ ও কলঙ্কের দিন। আমরা আশা করি আমেরিকায় পালিয়ে থাকা একজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে পারব। তবে অন্য তিনজনের খবর আমরা জানি না, যারা বিদেশে পালিয়ে আছেন। কেউ যদি বাকি তিনজনের খোঁজ দিতে পারেন, তাহলে তাদের পুরস্কৃত করা হবে।’

বঙ্গবন্ধুর পলাতক পাঁচ খুনির মধ্যে দুইজনের অবস্থান জানা সরকারের। বাকি তিনজনের বিষয়ে তথ্য দিলে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘এটি জাতির জন্য একটি শোকাবহ ও কলঙ্কের দিন। আমরা আশা করি আমেরিকায় পালিয়ে থাকা একজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে পারব। তবে অন্য তিনজনের খবর আমরা জানি না, যারা বিদেশে পালিয়ে আছেন।’

বঙ্গবন্ধুর তিন পলাতক খুনির বিষয়ে তথ্য দিতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বাকি তিনজনের খোঁজ দিতে পারেন, তা হলে তাদের পুরস্কৃত করা হবে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যায় মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছিল ১২ জনের। এদের মধ্যে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি ৫ খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

গত বছরের ১২ এপ্রিল আরেক খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) আবদুল মাজেদকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আরেক খুনি আজিজ পাশা।

বাকি পাঁচ খুনির মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় আর রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। কানাডা ‍মৃত্যুদণ্ডবিরোধী হওয়ায় নূরকে ফেরত দিচ্ছে না আর রাশেদকে ফিরিয়ে দিতে একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রকে তাগাদা দিয়ে আসছে ঢাকা।

তবে বাকি তিন খুনি শরিফুল হক ডালিম ওরফে মেজর ডালিম, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আব্দুর রশীদ ও রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই।

তবে ধারণা করা হয় মোসলেম উদ্দিন ভারতে আছেন আর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব পালনকারী একটি টিমের সদস্য ওয়ালিউর রহমান দাবি করেছেন, তার কাছে বাকি দুইজনের তথ্য আছে।

ডালিম ও রশীদ পাকিস্তানের পাসপোর্টধারী এবং কোটিপতি ব্যবসায়ী বলে জানান ওয়ালিউর। নিউজবাংলাকে বলেন, ডালিম পাকিস্তান থেকে কেনিয়ায় সব সময় যাতায়াত করছেন। কেনিয়ায় বিনিয়োগকারী বিদেশিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। সে দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা প্রভাবশালীরা বংশপরম্পরায় তাকে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।

‘খন্দকার আব্দুর রশীদও পাকিস্তানের পাসপোর্ট বহন করেন। তিনি মূলত লিবিয়ার বেনগাজিতে থাকেন। সেখানকার একজন বড় ব্যবসায়ী তিনি। পাকিস্তান ও লিবিয়ার বাইরে বেলজিয়ামেও তার যাতায়াত রয়েছে।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

প্রতিবছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গিপাড়া এসে থাকেন। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে তিনি আসতে পারেননি।

সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর পক্ষে অনার গার্ড দেয়া হয়।

এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষে ফারুক খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এস এম কামাল হোসেন, আনিছুর রহমান, সাহাবুদ্দিন ফরাজীও উপস্থিত ছিলেন।

এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডসহ শতাধিক সংগঠনের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

পরে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়। এতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা যোগ দেন।

এরপর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষকে শ্রদ্ধা জানাতে বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সমাধিস্থল ফুলে ফুলে ভরে যায় বঙ্গবন্ধুপ্রেমীদের ভালোবাসায়।

বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের তাগিদ দেন ফারুক খান।

জাতির পিতার খুনিদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনের অঙ্গীকার করেন।

এ বিভাগের আরো খবর