× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
The textile sector is booming with news of a াদেশ 10 billion purchase order
google_news print-icon

১০ বিলিয়ন ডলার ক্রয়াদেশের খবরে চাঙা বস্ত্র খাত  

১০-বিলিয়ন-ডলার-ক্রয়াদেশের-খবরে-চাঙা-বস্ত্র-খাত  
পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতের শেয়ারে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
গত বছরের রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশের বেশি আদেশ পাওয়ার খবর প্রকাশের পরদিন বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র চারটির শেয়ার দর কমেছে। বাকি ৫৪টি কোম্পানির দর বেড়েছে। অবশ্য সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকায় এই খাতের প্রাধান্য ছিল না।

জুন ও জুলাই মাসে পোশাক খাতে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ক্রয়াদেশের খবর প্রকাশের পরদিন পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে ব্যাপক চাঙাভাব দেখা দিয়েছে।

এই খাতের প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনও হয়েছে ব্যাপক। আগের কর্মদিবসের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ১০০ কোটি টাকারও বেশি।

আগের দিন নিউজবাংলার এক খবরে প্রকাশ পায় ১০ বিলিয়ন ডলার বা ৮৫ হাজার কোটি টাকার যে ক্রয়াদেশ পাওয়া গেছে, সেটি চলতি আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিপমেন্ট করতে হবে। এই আদেশ গত এক বছরের মোট রপ্তানির প্রায় ৩৫ শতাংশ।

করোনাকালে এই আদেশ তৈরি পোশাক খাতের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে আর পোশাক খাতের শেয়ারে তাই দেখা দিয়েছে নতুন করে আগ্রহ।

গত দুই কর্মদিবসে এই খাতের শেয়ার দর এমনিতেই বাড়ছিল। আর নতুন অর্ডারের খবরে তা বাড়ে আরও বেশি।

দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার পুঁজিবাজার বন্ধ ছিল সেদিন ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকায়। সোমবার পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র চারটির শেয়ার দর কমেছে। বাকি ৫৪টি কোম্পানির দর বেড়েছে। অবশ্য সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকায় এই খাতের প্রাধান্য ছিল না।

ব্যাংকে লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা বাড়ায় আজ থেকে পুঁজিবাজারেও লেনদেন এক ঘণ্টা বাড়িয়ে বেলা ২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

আর সকালে লেনদেনের শুরু থেকেই বাজারে দেখা দেয় চাঙাভাব। বস্ত্রের হাত ধরে বাজার এগিয়ে গেলেও পরে যোগ হয় ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ও প্রকৌশল এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতের শেয়ার দরও বাড়ে।

সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ে ৫০ পয়েন্টের বেশি। আর ২০ জুনের পর প্রথমবারের মতো লেনদেন ছাড়ায় ২ হাজার কোটি টাকার ঘর।

১০টা ৭ মিনিটে সূচক ৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্ট থেকে বেড়ে হয় ৬ হাজার ৪৬১ পয়েন্টে। এরপর কিছুটা ঠাক্কা লাগে সূচকে। উত্থানে গতি খানিকটা কমে ১০টা ২০ মিনিটে সূচক নেমে আসে ৬ হাজার ৪৪৮ পয়েন্টে।

চলতে থাকে লেনদেন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ১১টা ১৬ ও ১টা ২৫ মিনিটে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ৪৭৫ ও ৬ হাজার ৪৮৩ পয়েন্টে।

দিন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে একপর্যায়ে তা ৬ হাজার ৪৯১ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছে। তবে পরে সমন্বয়ে ১০ পয়েন্ট কমে শেষ হয় লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এই সূচক ২০১১ সালের ২৮ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। ওই দিন পুঁজিবাজারের ডিএসই সূচক ছিল ৬ হাজার ৫৮৭ পয়েন্ট। যদিও এখন আর ডিএসই সূচক নেই। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি চালু হয় ডিএসইএক্স সূচক।

এই ডিএসই ও ডিএসইএক্স সূচকের তুলনা করলে দেখা যায়, চালুর দিন ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৫৫। তবে সেদিন ডিএসই সূচকের মানদণ্ডে তা ছিল ৪ হাজার ১৭১ পয়েন্ট।

চাঙা বাজারে ব্যাপকভাবে হতাশ করেছে বিমা খাত। বস্ত্রে যেমন প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, তেমনি উল্টোভাবে এই খাতে কমেছে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার দর।

অর্ধবার্ষিক মুনাফায় চমক দেখানো ব্যাংক খাতে আবারও গেল একটি মন্দা দিন। যেসব কোম্পানির দাম বেড়েছে, তা একেবারেই নগণ্য পরিমাণে। তেমনি যেগুলো দর হারিয়েছে, সেগুলোর পতনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নয়।

প্রত্যাশার উত্থানে বস্ত্র

দীর্ঘদিন ধরেই পুঁজিবাজারে আলোচনায় বস্ত্র খাতের কোম্পানির শেয়ার নিয়ে। জুন ক্লোজিংয়ের প্রায় সব কটি কোম্পানি ২০২১ সালের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে।

এমন অবস্থায় প্রায়ই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্য খাতকে পেছনে ফেলে দর বৃদ্ধিতে সামনে আসে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো।

রোববার নতুন এক খবর যোগ হলো বস্ত্র খাতের উত্থানে। তা হচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে। যা সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিপমেন্ট করতে হবে। ফলে নতুন স্বপ্ন যুক্ত হলো এ খাতে। সোমবার লেনদেনে বস্ত্র খাতের শেয়ার দরে সেই ছোঁয়ায় দর বেড়েছে সবকটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার দর।

তবে কোনো খাত দিয়ে যখন তোলপাড় হয়, তখন সেই খাতের শেয়ারগুলোর দর দিনের সর্বাধিক দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকে সাধারণত। তবে এদিন সর্বাধিক দর বৃদ্ধির তালিকায় এই খাতের শেয়ারগুলো ছিল কমই।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে দুটি ছিল বস্ত্র খাতের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯.৯৫ শতাংশ বেড়েছে মেট্রো স্পিনিংয়ের দর। ১৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা।

তারপরেই আছে প্যাসিফিক ডেনিম, যার শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ, ১৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা।

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৯.৫০ শতাংশ, ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪১ টাকা ৬০ পয়সা।

এই খাতে লেনদেনও বেড়েছে ব্যাপকভাবে। আজ হাতবদল হয়েছে ২৯৫.৯১ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৮৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

সবচেয়ে বেশি লেনদেন প্রকৌশল খাতে

এই খাতের বেশির ভাগেরই লভ্যাংশ ঘোষণার সময় এসেছে আর সিংহভাগ কোম্পানিই করোনাকালে ভালো ব্যবসা করেছে বলে তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

আরও বেশ কিছু বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানির আবার চালু বা নতুন ব্যবসা শুরুর খবরেও আগ্রহ বেড়েছে।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে চারটিই ছিল এই খাতের।

১০ বিলিয়ন ডলার ক্রয়াদেশের খবরে চাঙা বস্ত্র খাত

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এস আলম কোল্ড রোলিং স্টিলের দর। ১০ শতাংশ বেড়ে শেয়ার দর ৩৩ টাকা থেকে হয়েছে ৩৬ টাকা ৩০ পয়সা।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপার্ডের শেয়ার দর ১৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৯.৯৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৬ টাকা ৬০ পয়সা।

নাহি অ্যালুমিনিয়ামের দর ৯.৯৩ শতাংশ বেড়ে ৪৩ টাকা ৫০ পয়সার শেয়ার হয়েছে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা।

সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৯.৮৫ শতাংশ। আরএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৬৯ শতাংশ। বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫৫ শতাংশ।

লেনদেন হওয়া ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে তিনটির, পাল্টায়নি একটির।

এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৭৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৭৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা বিদ্যুৎ ও ওষুধ খাতেও আগ্রহ

গত সপ্তাহ থেকেই ওষুধ ও রসায়ন খাতে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক দেখা দিয়েছিল। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে তা বেড়েছে আরও বেশি।

এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো সিনথেটিক অবসায়নের সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকে লেনদেন স্থগিত। বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেড়েছে ২৬টির দরই। বিপরীতে কমেছে ৪টির।

গত এক বছরে তিন গুণেরও বেশি দাম বাড়া বিকন ফার্মা আবার লাফ দিয়েছে। ১০ টাকার শেয়ার এক দিনেই ১৬ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ২১৭ টাকা ৬০ পয়সা।

উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বেড়েছে এসিআই ফর্মুলেশন, সেন্ট্রাল ফার্মা, ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, জেএমআই সিরিঞ্জ, লিব্রা ইনফিউশনের দরও।

এই খাতে লেনদেন ৩০৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ১৭২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

ঘুমন্ত জ্বালানি খাতে মাঝে মাঝে যে ঝলক দেখা দেয়, তেমন একটি দিন ছিল আজ। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটির দর হারানোর বিপরীতে বেড়েছে ১৮টির দর। লেনদেনও বেড়েছে ব্যাপকভাবে। গত বৃহস্পতিবার এই খাতে লেনদেন ৮২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। তা এক লাফে হয়েছে ১৩৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

শতকরা হিসেবে দর বৃদ্ধির হার খুব একটা বেশি না হলেও দিন শেষে কিছুটা হলেও বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন দেড় গুণ হয়ে যাওয়াটা এই খাতের বিনিয়োগকারীদের জন্য ছিল স্বস্তিকর।

বিশেষ করে দুই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পর নতুন করে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা কেপিসিএলের শেয়ার দর ৬০ পয়সা বৃদ্ধি পাওয়া কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীদের।

বিমা খাতে আরও হতাশা

জুনের মাঝামাঝি সময়ে সংশোধনে যাওয়া বিমা খাত মহামারির বছরে প্রথম ৬ মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে।

তার পরেও পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না এই খাতটি। এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে কেবল ৬টির। অন্যদিকে দর হারিয়েছে ৪৩টি কোম্পানি। পাল্টায়নি বাকি দুটির দাম।

বেশির ভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দর পতন হওয়ায় এদিন দিনের সর্বোচ্চ পতন হওয়া প্রাইম ইন্স্যুরেন্স দর হারিয়েছে ৯.৮৯ শতাংশ।

অন্যগুলোর মধ্যে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ৪.৯৯ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ৪.২৬ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স ৪.১৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স ৪ শতাংশ দর হারিয়েছে।

ফিনিক্স, পপুলার লাইফ, ক্রিস্টাল, সেন্ট্রাল ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে তিন শতাংশ পর্যন্ত।

উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৬০ লাখেরও বেশি শেয়ার কেনার পর গোটা খাতে পতনের ভিড়ে উল্টো স্রোতে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে আরও। ২.৫১ শতাংশ বেড়ে শেয়ার দর ৮৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে হয়েছে ৮৫ টাকা ৪০ পয়সা।

এই খাতে লেনদেন অবশ্য কিছুটা বেড়েছে। আজ হাতবদল হয়েছে ২০১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা গত বৃহস্পতিবার ছিল ১৯৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সুখবরও আগ্রহ বাড়াতে পারছে না ব্যাংকে

২০২০ সালে মহামারির বছরে কোম্পানিগুলো যে লভ্যাংশ বিতরণ করেছে, সেটি ছিল প্রত্যাশার বাইরে। অর্ধবার্ষিক মুনাফায় চমক দেখানো ব্যাংক খাতে কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ার দর তিন থেকে চার গুণ হয়েছে। একটি কোম্পানি গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা করেছে।

তার পরেও এই খাত বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারছে না। লেনদেনেও নেই গতি, আর শেয়ার দর খুব একটা বাড়েও না, আবার কমেও না।

আজ ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দর কমেছে ১৯টির, বেড়েছে ৭টির আর অপরিবর্তিত দেখা গেছে বাকি ৫টির দর।

১০ বিলিয়ন ডলার ক্রয়াদেশের খবরে চাঙা বস্ত্র খাত

লেনদেনে ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর কমেছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১.৪৪ শতাংশ। সাউথ ইস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.১৮ শতাংশ। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.০৬ শতাংশ। রূপালী ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ০.৯৪ শতাংশ।

এক শতাংশের কম হারে শেয়ার দর কমেছে ডাচ বাংলা, যমুনা, প্রাইম, আল আরাফাহ ইসলামী, এনআরবিসি ও ইসলামী ব্যাংকের।

দর বাড়া এবি, ব্র্যাক, সিটি, আইসিবি ইসলামী, এনসিসি, ওয়ান ও উত্তরার মধ্যে কেবল ব্র্যাকের দর বেড়েছে ২০ পয়সা, বাকিগুলোর ১০ পয়সা।

এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৮৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

তবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আবার দেখা গেছে চাঙাভাব। এই খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ২টির আর পাল্টায়নি দুটির।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৯০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৪৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

অন্যান্য খাতের লেনদেন

প্রধান অন্য খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৭টির আর একটির ছিল অপরিবর্তিত। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১০৫.৪০ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ১০১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অ্যামারেল্ড অয়েলের দাম। চার বছর ধরে বন্ধ থাকা কোম্পানিটি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে। এই খবর প্রকাশ হয়েছে আগেই। এর মধ্যে যোগ হলো গত জুলাইয়ে কোম্পানিটির ১০ শতাংশ শেয়ার কিনেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।

কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৯৭ বেড়েছে। আগের দিন দাম ছিল ২১ টাকা ১০ পয়সা, বর্তমান দাম ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা।

৩৬টির মধ্যে ৩০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকলেও এই খাতে আগ্রহ এখন আর সেভাবে বাড়ছে না, যদিও গত চার মাসে ইউনিটের দর দেড় গুণেরও বেশি বেড়েছে।

ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে কেবল ৮টির, অন্যদিকে দর হারিয়েছে ১৪টি। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ১৪টির দর।

তবে বেড়েছে লেনদেন। এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৯৩ কোটি ১ লাখ টাকা, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৬৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১০টির, কমেছে ৩টির, আর অপরিবর্তিত দেখা গেছে একটির দর।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ১১৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১১৩ কোটি টাকা।

সূচক ও লেনদেন

সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৮১ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক ১১ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪১২ পয়েন্টে।

১০ বিলিয়ন ডলার ক্রয়াদেশের খবরে চাঙা বস্ত্র খাত
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের এই অবস্থান এখন ২০১১ সালের ২৮ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৬ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৪৪ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩২টির, কমেছে ১১৮টির, দর পাল্টায়নি ২৫টির। লেনদেন হয়েছে মোট ২ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ১ হাজার ৫২১ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ২২৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৫৮ পয়েন্টে।

লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় এবি ব্যাংকের
রোববার বন্ধ পুঁজিবাজার, সোমবার লেনদেন ১০টা-২টা
বস্ত্রের ফেরার দিন অনুজ্জ্বল ব্যাংক-বিমা
কারখানা সম্প্রসারণে ৩২২ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত বিএটিবিসির
আয় ধরে রেখেছে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

p
উপরে