× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

পুঁজিবাজার
The textile sector is booming with news of a াদেশ 10 billion purchase order
google_news print-icon

১০ বিলিয়ন ডলার ক্রয়াদেশের খবরে চাঙা বস্ত্র খাত  

১০-বিলিয়ন-ডলার-ক্রয়াদেশের-খবরে-চাঙা-বস্ত্র-খাত  
পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতের শেয়ারে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
গত বছরের রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশের বেশি আদেশ পাওয়ার খবর প্রকাশের পরদিন বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র চারটির শেয়ার দর কমেছে। বাকি ৫৪টি কোম্পানির দর বেড়েছে। অবশ্য সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকায় এই খাতের প্রাধান্য ছিল না।

জুন ও জুলাই মাসে পোশাক খাতে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ক্রয়াদেশের খবর প্রকাশের পরদিন পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে ব্যাপক চাঙাভাব দেখা দিয়েছে।

এই খাতের প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনও হয়েছে ব্যাপক। আগের কর্মদিবসের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ১০০ কোটি টাকারও বেশি।

আগের দিন নিউজবাংলার এক খবরে প্রকাশ পায় ১০ বিলিয়ন ডলার বা ৮৫ হাজার কোটি টাকার যে ক্রয়াদেশ পাওয়া গেছে, সেটি চলতি আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিপমেন্ট করতে হবে। এই আদেশ গত এক বছরের মোট রপ্তানির প্রায় ৩৫ শতাংশ।

করোনাকালে এই আদেশ তৈরি পোশাক খাতের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে আর পোশাক খাতের শেয়ারে তাই দেখা দিয়েছে নতুন করে আগ্রহ।

গত দুই কর্মদিবসে এই খাতের শেয়ার দর এমনিতেই বাড়ছিল। আর নতুন অর্ডারের খবরে তা বাড়ে আরও বেশি।

দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার পুঁজিবাজার বন্ধ ছিল সেদিন ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকায়। সোমবার পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র চারটির শেয়ার দর কমেছে। বাকি ৫৪টি কোম্পানির দর বেড়েছে। অবশ্য সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকায় এই খাতের প্রাধান্য ছিল না।

ব্যাংকে লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা বাড়ায় আজ থেকে পুঁজিবাজারেও লেনদেন এক ঘণ্টা বাড়িয়ে বেলা ২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

আর সকালে লেনদেনের শুরু থেকেই বাজারে দেখা দেয় চাঙাভাব। বস্ত্রের হাত ধরে বাজার এগিয়ে গেলেও পরে যোগ হয় ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ও প্রকৌশল এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতের শেয়ার দরও বাড়ে।

সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ে ৫০ পয়েন্টের বেশি। আর ২০ জুনের পর প্রথমবারের মতো লেনদেন ছাড়ায় ২ হাজার কোটি টাকার ঘর।

১০টা ৭ মিনিটে সূচক ৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্ট থেকে বেড়ে হয় ৬ হাজার ৪৬১ পয়েন্টে। এরপর কিছুটা ঠাক্কা লাগে সূচকে। উত্থানে গতি খানিকটা কমে ১০টা ২০ মিনিটে সূচক নেমে আসে ৬ হাজার ৪৪৮ পয়েন্টে।

চলতে থাকে লেনদেন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ১১টা ১৬ ও ১টা ২৫ মিনিটে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ৪৭৫ ও ৬ হাজার ৪৮৩ পয়েন্টে।

দিন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে একপর্যায়ে তা ৬ হাজার ৪৯১ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছে। তবে পরে সমন্বয়ে ১০ পয়েন্ট কমে শেষ হয় লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এই সূচক ২০১১ সালের ২৮ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। ওই দিন পুঁজিবাজারের ডিএসই সূচক ছিল ৬ হাজার ৫৮৭ পয়েন্ট। যদিও এখন আর ডিএসই সূচক নেই। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি চালু হয় ডিএসইএক্স সূচক।

এই ডিএসই ও ডিএসইএক্স সূচকের তুলনা করলে দেখা যায়, চালুর দিন ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৫৫। তবে সেদিন ডিএসই সূচকের মানদণ্ডে তা ছিল ৪ হাজার ১৭১ পয়েন্ট।

চাঙা বাজারে ব্যাপকভাবে হতাশ করেছে বিমা খাত। বস্ত্রে যেমন প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, তেমনি উল্টোভাবে এই খাতে কমেছে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার দর।

অর্ধবার্ষিক মুনাফায় চমক দেখানো ব্যাংক খাতে আবারও গেল একটি মন্দা দিন। যেসব কোম্পানির দাম বেড়েছে, তা একেবারেই নগণ্য পরিমাণে। তেমনি যেগুলো দর হারিয়েছে, সেগুলোর পতনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নয়।

প্রত্যাশার উত্থানে বস্ত্র

দীর্ঘদিন ধরেই পুঁজিবাজারে আলোচনায় বস্ত্র খাতের কোম্পানির শেয়ার নিয়ে। জুন ক্লোজিংয়ের প্রায় সব কটি কোম্পানি ২০২১ সালের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে।

এমন অবস্থায় প্রায়ই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্য খাতকে পেছনে ফেলে দর বৃদ্ধিতে সামনে আসে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো।

রোববার নতুন এক খবর যোগ হলো বস্ত্র খাতের উত্থানে। তা হচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে। যা সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিপমেন্ট করতে হবে। ফলে নতুন স্বপ্ন যুক্ত হলো এ খাতে। সোমবার লেনদেনে বস্ত্র খাতের শেয়ার দরে সেই ছোঁয়ায় দর বেড়েছে সবকটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার দর।

তবে কোনো খাত দিয়ে যখন তোলপাড় হয়, তখন সেই খাতের শেয়ারগুলোর দর দিনের সর্বাধিক দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকে সাধারণত। তবে এদিন সর্বাধিক দর বৃদ্ধির তালিকায় এই খাতের শেয়ারগুলো ছিল কমই।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে দুটি ছিল বস্ত্র খাতের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯.৯৫ শতাংশ বেড়েছে মেট্রো স্পিনিংয়ের দর। ১৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা।

তারপরেই আছে প্যাসিফিক ডেনিম, যার শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ, ১৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা।

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৯.৫০ শতাংশ, ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪১ টাকা ৬০ পয়সা।

এই খাতে লেনদেনও বেড়েছে ব্যাপকভাবে। আজ হাতবদল হয়েছে ২৯৫.৯১ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৮৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

সবচেয়ে বেশি লেনদেন প্রকৌশল খাতে

এই খাতের বেশির ভাগেরই লভ্যাংশ ঘোষণার সময় এসেছে আর সিংহভাগ কোম্পানিই করোনাকালে ভালো ব্যবসা করেছে বলে তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

আরও বেশ কিছু বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানির আবার চালু বা নতুন ব্যবসা শুরুর খবরেও আগ্রহ বেড়েছে।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে চারটিই ছিল এই খাতের।

১০ বিলিয়ন ডলার ক্রয়াদেশের খবরে চাঙা বস্ত্র খাত

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এস আলম কোল্ড রোলিং স্টিলের দর। ১০ শতাংশ বেড়ে শেয়ার দর ৩৩ টাকা থেকে হয়েছে ৩৬ টাকা ৩০ পয়সা।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপার্ডের শেয়ার দর ১৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৯.৯৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৬ টাকা ৬০ পয়সা।

নাহি অ্যালুমিনিয়ামের দর ৯.৯৩ শতাংশ বেড়ে ৪৩ টাকা ৫০ পয়সার শেয়ার হয়েছে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা।

সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৯.৮৫ শতাংশ। আরএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৬৯ শতাংশ। বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫৫ শতাংশ।

লেনদেন হওয়া ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে তিনটির, পাল্টায়নি একটির।

এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৭৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৭৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা বিদ্যুৎ ও ওষুধ খাতেও আগ্রহ

গত সপ্তাহ থেকেই ওষুধ ও রসায়ন খাতে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক দেখা দিয়েছিল। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে তা বেড়েছে আরও বেশি।

এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো সিনথেটিক অবসায়নের সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকে লেনদেন স্থগিত। বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেড়েছে ২৬টির দরই। বিপরীতে কমেছে ৪টির।

গত এক বছরে তিন গুণেরও বেশি দাম বাড়া বিকন ফার্মা আবার লাফ দিয়েছে। ১০ টাকার শেয়ার এক দিনেই ১৬ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ২১৭ টাকা ৬০ পয়সা।

উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বেড়েছে এসিআই ফর্মুলেশন, সেন্ট্রাল ফার্মা, ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, জেএমআই সিরিঞ্জ, লিব্রা ইনফিউশনের দরও।

এই খাতে লেনদেন ৩০৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ১৭২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

ঘুমন্ত জ্বালানি খাতে মাঝে মাঝে যে ঝলক দেখা দেয়, তেমন একটি দিন ছিল আজ। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটির দর হারানোর বিপরীতে বেড়েছে ১৮টির দর। লেনদেনও বেড়েছে ব্যাপকভাবে। গত বৃহস্পতিবার এই খাতে লেনদেন ৮২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। তা এক লাফে হয়েছে ১৩৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

শতকরা হিসেবে দর বৃদ্ধির হার খুব একটা বেশি না হলেও দিন শেষে কিছুটা হলেও বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন দেড় গুণ হয়ে যাওয়াটা এই খাতের বিনিয়োগকারীদের জন্য ছিল স্বস্তিকর।

বিশেষ করে দুই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পর নতুন করে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা কেপিসিএলের শেয়ার দর ৬০ পয়সা বৃদ্ধি পাওয়া কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীদের।

বিমা খাতে আরও হতাশা

জুনের মাঝামাঝি সময়ে সংশোধনে যাওয়া বিমা খাত মহামারির বছরে প্রথম ৬ মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে।

তার পরেও পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না এই খাতটি। এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে কেবল ৬টির। অন্যদিকে দর হারিয়েছে ৪৩টি কোম্পানি। পাল্টায়নি বাকি দুটির দাম।

বেশির ভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দর পতন হওয়ায় এদিন দিনের সর্বোচ্চ পতন হওয়া প্রাইম ইন্স্যুরেন্স দর হারিয়েছে ৯.৮৯ শতাংশ।

অন্যগুলোর মধ্যে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ৪.৯৯ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ৪.২৬ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স ৪.১৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স ৪ শতাংশ দর হারিয়েছে।

ফিনিক্স, পপুলার লাইফ, ক্রিস্টাল, সেন্ট্রাল ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে তিন শতাংশ পর্যন্ত।

উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৬০ লাখেরও বেশি শেয়ার কেনার পর গোটা খাতে পতনের ভিড়ে উল্টো স্রোতে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে আরও। ২.৫১ শতাংশ বেড়ে শেয়ার দর ৮৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে হয়েছে ৮৫ টাকা ৪০ পয়সা।

এই খাতে লেনদেন অবশ্য কিছুটা বেড়েছে। আজ হাতবদল হয়েছে ২০১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা গত বৃহস্পতিবার ছিল ১৯৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সুখবরও আগ্রহ বাড়াতে পারছে না ব্যাংকে

২০২০ সালে মহামারির বছরে কোম্পানিগুলো যে লভ্যাংশ বিতরণ করেছে, সেটি ছিল প্রত্যাশার বাইরে। অর্ধবার্ষিক মুনাফায় চমক দেখানো ব্যাংক খাতে কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ার দর তিন থেকে চার গুণ হয়েছে। একটি কোম্পানি গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা করেছে।

তার পরেও এই খাত বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারছে না। লেনদেনেও নেই গতি, আর শেয়ার দর খুব একটা বাড়েও না, আবার কমেও না।

আজ ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দর কমেছে ১৯টির, বেড়েছে ৭টির আর অপরিবর্তিত দেখা গেছে বাকি ৫টির দর।

১০ বিলিয়ন ডলার ক্রয়াদেশের খবরে চাঙা বস্ত্র খাত

লেনদেনে ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর কমেছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১.৪৪ শতাংশ। সাউথ ইস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.১৮ শতাংশ। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.০৬ শতাংশ। রূপালী ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ০.৯৪ শতাংশ।

এক শতাংশের কম হারে শেয়ার দর কমেছে ডাচ বাংলা, যমুনা, প্রাইম, আল আরাফাহ ইসলামী, এনআরবিসি ও ইসলামী ব্যাংকের।

দর বাড়া এবি, ব্র্যাক, সিটি, আইসিবি ইসলামী, এনসিসি, ওয়ান ও উত্তরার মধ্যে কেবল ব্র্যাকের দর বেড়েছে ২০ পয়সা, বাকিগুলোর ১০ পয়সা।

এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৮৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

তবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আবার দেখা গেছে চাঙাভাব। এই খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ২টির আর পাল্টায়নি দুটির।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৯০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৪৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

অন্যান্য খাতের লেনদেন

প্রধান অন্য খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৭টির আর একটির ছিল অপরিবর্তিত। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১০৫.৪০ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ১০১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অ্যামারেল্ড অয়েলের দাম। চার বছর ধরে বন্ধ থাকা কোম্পানিটি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে। এই খবর প্রকাশ হয়েছে আগেই। এর মধ্যে যোগ হলো গত জুলাইয়ে কোম্পানিটির ১০ শতাংশ শেয়ার কিনেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।

কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৯৭ বেড়েছে। আগের দিন দাম ছিল ২১ টাকা ১০ পয়সা, বর্তমান দাম ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা।

৩৬টির মধ্যে ৩০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকলেও এই খাতে আগ্রহ এখন আর সেভাবে বাড়ছে না, যদিও গত চার মাসে ইউনিটের দর দেড় গুণেরও বেশি বেড়েছে।

ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে কেবল ৮টির, অন্যদিকে দর হারিয়েছে ১৪টি। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ১৪টির দর।

তবে বেড়েছে লেনদেন। এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৯৩ কোটি ১ লাখ টাকা, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৬৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১০টির, কমেছে ৩টির, আর অপরিবর্তিত দেখা গেছে একটির দর।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ১১৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১১৩ কোটি টাকা।

সূচক ও লেনদেন

সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৮১ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক ১১ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪১২ পয়েন্টে।

১০ বিলিয়ন ডলার ক্রয়াদেশের খবরে চাঙা বস্ত্র খাত
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের এই অবস্থান এখন ২০১১ সালের ২৮ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৬ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৪৪ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩২টির, কমেছে ১১৮টির, দর পাল্টায়নি ২৫টির। লেনদেন হয়েছে মোট ২ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ১ হাজার ৫২১ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ২২৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৫৮ পয়েন্টে।

লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় এবি ব্যাংকের
রোববার বন্ধ পুঁজিবাজার, সোমবার লেনদেন ১০টা-২টা
বস্ত্রের ফেরার দিন অনুজ্জ্বল ব্যাংক-বিমা
কারখানা সম্প্রসারণে ৩২২ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত বিএটিবিসির
আয় ধরে রেখেছে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পুঁজিবাজার
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার

পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার

পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।

লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।

ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।

ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।

৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।

অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।

চট্টগ্রামেও বড় পতন

.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।

লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।

সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।

এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
The index has dropped again in the capital market of Dhaka Chittagong

আবারও সূচক কমল ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন

আবারও সূচক কমল ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।

সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।

তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Capital Market In the first hour of the rise in Dhaka the fall in Chittagong

পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন

পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন ডিএসই ও সিএসইর লোগো। কোলাজ: ইউএনবি
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।

লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Capital Market More than 1 crore transactions in two hours

পুঁজিবাজার: দুই ঘণ্টায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন

পুঁজিবাজার: দুই ঘণ্টায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন প্রতীকী ছবি
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।

টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।

সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।

আরও পড়ুন:
সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Week transaction began in Chittagong to fall in Dhaka

সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে

সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে ডিএসই ও সিএসইর লোগোর মাঝে সূচকের উত্থানের গ্রাফিক্স। ছবি: ইউএনবি
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।

অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে

মন্তব্য

পুঁজিবাজার
Capital Market Starting the week with rise

পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু

পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু প্রতীকী ছবি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সব সূচকের পতন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, চট্টগ্রামে বড় পতন
উত্থানের ধারা বজায় রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেন

মন্তব্য

p
উপরে